বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একই দিনে পরপর দুটি মামলায় ‘সুপ্রিম’ স্বস্তি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সিবিআই (CBI) গ্রেফতারির ওপর রক্ষাকবচ দেয় শীর্ষ আদালত আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Election Violence) মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রক্ষাকবচ বহাল রাখল তারা অর্থাৎ উক্ত মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। ফলে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আর এবার সুপ্রিম কোর্ট, পরপর দুই আদালতেই মুখ পুড়লো তদন্তকারী সংস্থার।
সম্প্রতি, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যসূত্র হাতে মিলেছে গোয়েন্দা সংস্থার। এক্ষেত্রে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা ঘিরে চাঞ্চল্য তুঙ্গে।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় উঠে পড়ে লেগেছে সিবিআই। বলে রাখা ভালো, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয় লাভের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে হিংসার ঘটনায় নাম জড়ায় একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর, এমনকি খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্তের দায়ভার হাতে নিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হয় CBI। তবে এক্ষেত্রে আদালত জানিয়ে দেয়, তৃণমূল নেতাকে কোনভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। অবশেষে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখল রাখলো শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, “ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পূর্ণাঙ্গ শুনানি প্রয়োজন আর তার আগে পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা যাবে না।” ফলে স্বাভাবিকভাবেই বড়সড় স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নন, এদিন তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করে সিবিআই। সেই তলব মাঝে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান দেবরাজ এবং পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি বলেন, “যদি সিবিআই ডাকে, আবার আসবো।”