বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিমানি রাধার মতন সিবিআইয়ের ডাকাডাকি আর কলির ‘কেষ্টর’ তা এড়িয়ে যাওয়া, বর্তমানে প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গে। বারবারই অসুস্থতার অজুহাতে সিবিআইয়ের দর্শন এড়িয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।
গরু পাচার মামলায় মার্চের ১৪ তারিখ তাঁকে নিজাম।প্যালেসে তলব করে সিবিআই। বলা হয় এইবার হাজিরা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু এর পরও সিবিআইয়ের বদলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তবে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে করা তাঁর আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।
এদিন অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতি এবং অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেই রক্ষাকবচ চান তাঁরা৷
এই পালটা দেন সিবিআইয়ের কৌশলী। তাঁর দাবি, সবই করে বেড়াচ্ছেন অনুব্রত বাবু। পার্টির সম্মেলন, সাংবাদিক সম্মেলন, স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড, এত সব করতে পারলে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে অসুবিধেটা ঠিক কোথায়?’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর যদি মনে হয়ে থাকে যে হাজিরা দিলে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করবে, তাহলে আগাম জামিনের আবেদন কেন করছেন না তিনি? এটি ২০১৯ সালের মামলা। পুরোনো মামলায় রক্ষাকবচ দেওয়া মানে তদন্তে হস্তক্ষেপ করা। আদালত কখনওই তা করতে পারে না।’
এর আগেও দুবার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু এই তৃতীয় বারের হাজিরা যদি তিনি এড়িয়ে যেতে চান তাহলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে প্রথমবার তলব করে সিবিআই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে সেবার যাননি তিনি। একই সঙ্গে আইনী রক্ষাকবচ চেয়ে তখনও হাইকোর্টে আবেদনও করেন অনুব্রত, সেখানে তিনি বলেন সিবিআইকে তদন্তে সমস্ত রকম ভাবেও সাহায্য করবেন তিনি। পরিবর্তে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বড় পদক্ষেপ যেন না নেওয়া হয়। সেবার রক্ষাকবচ মিললেও মিলল না এবার। তবে কি শেষমেষ নিজাম প্যালেসে দেখা যাবে তাঁকে? এখন সেটাই দেখার।