বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আগে বাড়ি ফিরেছেন বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর জামিন পেয়েছেন কেষ্ট (Anubrata Mondal)। এবার তাঁর প্রথম সভাতেই বাঁধল বিপত্তি! জানা যাচ্ছে, জামিন পাওয়ার পর তৃণমূল নেতার প্রথম সভায় হাতাহাতি জড়ায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
জামিনের পর অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রথম সভায় বিশৃঙ্খলা!
রিপোর্ট বলছে, মুরারই দুই নং ব্লকের পাইকর হাই মাদ্রাসার মাঠে বিজয়া সম্মিলনী চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত। তাঁর সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দলের কর্মী সমর্থকরা। সেই ঘটনার জেরে সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়।
বিজয়া সম্মিলনীর (Bijoya Sommeloni) অনুষ্ঠান চলাকালীন তৃণমূলের দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে খবর। শুধু তাই নয়, সেই সভামঞ্চে কেষ্টর চেয়ারও উল্টে যায়। যদিও তার আগেই তৃণমূল নেতাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক! কালীঘাটে কী নিয়ে আলোচনা হল? ফাঁস হতেই তোলপাড়
এদিকে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দুই কর্মী সমর্থকদের এই হাতাহাতির নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে কিনা সেটা দলীয় নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে বলে খবর। এদিন বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার কোর কমিটির বাকি সদস্যরা। চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায় চৌধুরী থেকে শুরু করে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ঘোষরা হাজির ছিলেন।
ছিলেন না বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সভায় দেখা মেলেনি বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখেরও। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেও কি তৃণমূলের (TMC) কোন্দল? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।
এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল এখন বুঝতে পারছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে তাঁদের ব্যবহার করেছিল, সেই দলই বিপদের সময় রক্ষা করার মতো অবস্থায় নেই। নিজেদের টাকার বখরা তো পেয়ে গিয়েছে’।