বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বাংলা ছেড়ে গরু পাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডি। এদিনই মধ্যরাতে টানটান উত্তেজনার মধ্যে বিচারকের বাড়িতে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ হয় কেষ্টর। শুনানি শেষে যখন ইডি-র লক আপে ঢোকানো হয়, সময় তখন রাত দুটো।
জানা গিয়েছে এদিন শুনানিতে দুঁদে নেতা অনুব্রতকে সুস্থ রাখতে বিচারক বেশ কিছু আর্জি মেনে নিয়েছেন। তবে কী সেই আর্জি? সূত্রের খবর, এদিন বিচারপতি রাকেশ কুমারের বাড়িতে অনুব্রত মামলার যে শুনানি হয়েছে তাতে কেষ্ট মণ্ডলের আইনজীবীর ৩টি আর্জিতে সায় দিয়েছেন বিচারক।
কী সেগুলি? প্রথমত, ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে উপস্থিত থাকতে পারবেন অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন আধঘন্টা করে অনুব্রত মণ্ডলকে তার আইনজীবীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দিতে হবে।
আর তৃতীয়ত, প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতর স্বাস্থ্য ও শরীরের কথা মাথায় রেখে আইনজীবীর এই সমস্ত দাবিই মেনে নিয়েছেন বিচারক রাকেশ কুমার। ইডি সূত্রে খবর, কাল কলকাতা ছেড়ে রওনা দেওয়ার পর থেকেই একেবারে চুপচাপ অনুব্রত। বিমানে কিছুটা সময় ঘুমোলেও মঙ্গলবার সারারাত প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন তিনি। লক আপের ভিতর দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি কেষ্ট।
বুধবার সকালে উঠে চা বিস্কুট খান তিনি৷ প্রাতঃরাশও করেছেন সকালে। জানিয়ে রাখি, মঙ্গলবার দিল্লি পৌঁছে মধ্যরাতেই শুনানির ব্যবস্থা করা হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। তবে সশরীরে হাজিরার পক্ষে সওয়াল করেন কেষ্টর আইনজীবী। এরপর মাঝপথে শুনানি বন্ধ করেই হঠাৎই বিচারকের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডলকে। দীর্ঘক্ষন শুনানি শেষে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে জানা গিয়েছে, এদিন শুনানির সময়ও নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই বলে আদালতে জানান অনুব্রত।