বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার বাংলার সীমানা পেরিয়ে গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডি (ED)। বর্তমানে ইডির দরবারেই ‘বীরভূমের বাঘ’। দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। শুক্রবার কেষ্টকে আদালতে পেশ করার পর আরও ১১ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
কেমন আছেন নেতা? কী খাবার পাতে পড়ছে তার? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাংলা পেরিয়ে দিল্লি গিয়েও জমিয়ে বাঙালি খাবার খাচ্ছেন কেষ্ট মণ্ডল। সাথে খাচ্ছেন ইংলিশ খাবারও। শুক্রবার সকালে আদালতে পেশ করার আগে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃরাশে তিনি খেয়েছেন কফি। সাথে ছিল বাটার টোস্ট। তারপর সবুজ রঙা পাঞ্জাবি পরে আদালতে হাজির হন তিনি।
সূত্রের খবর আদালতে পেশ করার আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইডির ম্যারাথন জেরার পর রাতে কেষ্টর পাতে পড়েছিল বাঙালি খাবার। ছিল এলাহী আয়োজন। খেয়েছিলেন ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, আলু পোস্ত। বয়স হলেও এখনও বেশ ভোজন রসিক অনুব্রত। মঙ্গলবার নেতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেও গাড়ি থামিয়ে জলখাবার খান তিনি। মেনুতে ছিল কচুরি, ছোলার ডাল, লেংচা, রাজভোগ।
গরু পাচারের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন অনুব্রত। এই দাবির স্বপক্ষে বহু তথ্য প্রমান পেয়েছে ইডি। তবে পাচারের সেসব টাকা কোথায়? কোনো কোন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার পকেট ভরেছে সেই টাকায়, বর্তমানে সেই রহস্যের কিনারা করতেই মরিয়া ইডি। গরু পাচার মামলায় বাংলাদেশের কোনও যোগ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী।
দিল্লিতে বেশ রাজার হালেই রয়েছেন কেষ্ট, এমনটাই খবর মিলেছে। থাকছেন এসি ঘরে, বাঙালি খাবার ছেড়ে আবার কখনও হাতে তুলে নিচ্ছেন বার্গার সাথে কোল্ড কফি। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে যখন অনুব্রত ছিলেন তখনও সেখানে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে স্পেশাল ট্রিটমেন্টই পেতেন অনুব্রত। দিল্লিতেও সেই ‘জামাই আদর’। অন্যদিকে, শুক্রবারর অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা।