বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১০ সালের একটি মামলায় হাজিরা দিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতার বিধাননগরে বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ কেষ্টকে আসানসোল সংশোধানাগার থেকে গাড়িতে তোলা হয়। একটি বাতানুকূল গাড়িতে বসিয়ে অনুব্রতকে বিধাননগর নিয়ে আসছে পুলিশ। অনুব্রতকে যে গাড়িতে করে বিধাননগরের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে তার সামনে ও পিছনে অন্য গাড়িতে রয়েছে পুলিশ স্কোয়াড। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতাকে কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেট।
আসানসোল আদালতের বাইরে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন পঞ্চায়েত ভোটে কী হতে চলেছে? উত্তরে তিনি শুধু বলেন, ‘ব্যাপক হবে’। এর পর একটি বিশেষ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন শুনেই রেগে যেতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সংবাদ মাধ্যম তাঁকে জিজ্ঞেস করে শরীর কেমন আছে। উত্তরে কেষ্ট ক্ষুণ্ণ ভাবে বলেন , ‘ভাল নেই।’
কিন্তু হঠাৎ বিধাননগরের বিশেষ আদালতে কেন? জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার একটি বিস্ফোরণে আহত হন তৎকালীন এক দাপুটে সিপিএম নেতা। বোমার আঘাতে ডান হাত উড়ে যায় তাঁর। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলাতেই অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১০-এ মঙ্গলকোট থানায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি চার্জশিটেও ছিল তাঁর নাম। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘দাপট’ বাড়ে অনুব্রতর। আইন-আদালতও সেই সময় বিশেষ কিছুই করতে পারেনি তাঁর।
এই মুহুর্তে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে তিনি বন্দি রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। তাই এখন যদি এই মামলায় তিনি যদি হাজির না হন তা হলে পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠবে। এই কারণেই ওই পুরনো মামলায় অনুব্রতকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংশোধনাগার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা যাওয়া-আসা নিয়ে বেশ খানিকটা ভয় পেয়ে আছেন কেষ্ট। এত দূর গিয়ে ফিরে আসায় তাঁর শরীর আরও খারাপ হতে পারে বলেও নাকি তিনি আশঙ্কা করছেন। তাই তাঁকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে আসার সময় প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধপত্র সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।