বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জড়িত থাকার অনুমানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্য এখনো পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি সিবিআইয়ের হাতে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশংসা করেছেন। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দেওয়ার চার্জশিটে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম সরাসরি উল্লেখ করল সিবিআই, যা ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, সায়গল হোসেন অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে ঘুষের টাকা নিতেন।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় কয়েক মাস পূর্বেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সম্প্রতি, তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “অনুব্রতকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?” একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মাঝেই এবার আদালতে পেশ করা চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে বসলো সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১১ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী পদে নিযুক্ত হন সায়গল হোসেন। বর্তমানে সায়গলের সম্পত্তির ক্ষেত্রে একাধিক অসংগতির হিসেব তুলে ধরে সিবিআই। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে অনুব্রতর দেহরক্ষীর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মিলেছে সিবিআইয়ের হাতে। তাদের অনুমান, বীরভূমে যে হাট বসতো, সেখান থেকে গরুগুলিকে বেআইনিভাবে মুর্শিদাবাদে পাঠানো হতো এবং এরপর সেগুলি পৌঁছে যেত বাংলাদেশে। সম্পূর্ণ ঘটনায় সায়গল হোসেনের পাশাপাশি এনামুল হক ও আব্দুল লতিফের যোগ রয়েছে বলেও দাবি CBI-র।
সেই সূত্রে পেশ করা চার্জশিটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী পদে নিযুক্ত থাকাকালীন অনুব্রতর হয়ে আব্দুল লতিফ এবং এনামুল হকের থেকে ঘুষের টাকা নিতো সায়গল হোসেন।” এ প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে কথোপকথনের কল রেকর্ড কলকাতা হাইকোর্টকে প্রদান করেছে তারা।
বর্তমানে সায়গল হোসেন এবং এনামুল হকের যোগসূত্রের খবর মিললেও জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে বর্তমানে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ থাকার যে তথ্য পেশ করেছে সিবিআই, তাতে বিতর্ক বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দেখার, অনুব্রতকে জেরার মাধ্যমে নয়া কোন তথ্য উঠে আসে তাদের হাতে।