গাড়ি, পুলিশ সব দাঁড়িয়ে, হঠাৎ কেষ্টর মরা কান্না ‘আমি যাব না’! আজব কান্ড শুরু করলেন অনুব্রত মণ্ডল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে ইডি। তবে তারপরই কাহিনীতে একের পর এক টুইস্ট। অনুব্রত মণ্ডলের রাজধানী যাত্রা হচ্ছে কি না? শুক্রবার সকাল থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। অন্নদিকে, শুক্রবার অনুব্রত জানান ফিসচুলায় ফেটে গেছে তার, কষ্ট পাচ্ছেন।

বিচারপতি তার কথা শুনেই তার অনুব্রতর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে বলেন। দ্রুত ভালো চিকিৎসা যাতে হয় সেই নির্দেশও দেন। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় কেষ্টর চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। একদিকে যখন পুলিশ, গাড়ি সব রেডি। ঠিক সেই সময় হঠাৎ অনুব্রতর কথা ‘আমি যাব না।’

তবে কেন হঠাৎ বেঁকে বসলেন অনুব্রত? যেখানে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন সেখানে চিকিৎসা করাতে কিসের অনীহা কেষ্টর? সেই উত্তর কিন্তু পাওয়া যায় নি। সূত্রের খবর, আজ ফের হাসপাতালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। শুক্রবার আসানসোল আদালতের বিচারক অনুব্রতর স্বাস্থ্য, শরীর নিয়ে জিজ্ঞেস করলে জবাবে অনুব্রত প্রথমে ভাল আছেন জানালেও, পরে বলেন, শরীর ভাল নেই বলেন।

বিচারকের সামনে অনুব্রত বলেন, ফিসচুলার সমস্যা তাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে। বলেন, “ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে, রক্ত বেরোচ্ছে।” অনুব্রতর মুখে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘জেল কর্তৃপক্ষকে বলে দিচ্ছি যেন ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।’ এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যাতেই তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

anubrata jail

সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আসানসোল হাসপাতালে (Asansol Hospital) নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ব্যারিকেডও সাজানো হয়। এরপর অসুস্থ কেষ্টকে নিয়ে যেতে গাড়িও পৌঁছে যায় সময় মতো। কিন্তু এরপর সময় অতিবাহিত হতে থাকলেও জেল থেকে বেরোন না অনুব্রত। পরে খোঁজ নিলে জানা যায়, তিনি নাকি নিজেই যেতে চাননি। তবে কেন তার এহেন আচরণ তার কোনো উত্তর নেই।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর