মিছিলে গদা হাতে অনুব্রতর “দাপট”! ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কাজল শেখ, বীরভূমে দুই নেতার দ্বন্দ্ব

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ৩ দিনে ৩ টি মিছিল শেষ! তবুও, বীরভূমে কমল না কাজল-কেষ্ট সংঘাত। বরং, ওই জেলায় তৃণমূলের এই দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, মিছিলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হাতে থাকা গদারও সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে কাজল শেখকে।

মিছিলে গদা হাতে দেখা যায় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal):

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মিছিলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এক অনুগামীকে গদা হাতে রাখা যায়। পরে ওই গদাটি নিজের হাতে তুলে নেন অনুব্রত। তারপরেই তিনি জানান “সঙ্কটমোচন” ওই গদাটি পাঠিয়েছেন। এদিকে, বীরভূমে তাঁর দল এবং পদ নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি জানান “জো হোগা দেখা জায়েগা।”

Anubrata Mondal recent update.

এমতাবস্থায়, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হাতে থাকা গদার প্রসঙ্গে কাজল শেখকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি দেখতে পাইনি। গদা কে দিয়েছে? কোথা থেকে দেওয়া হল? এবং গদা হাতে করে নিয়ে যাওয়ার মত ক্ষমতা তার আছে কিনা সেই বিষয় সংশয় আছে। দেখতে হবে।”

আরও পড়ুন: রণজিৎ ঘোষকেই বিয়ে করেন মমতা? হয়েছিলেন সন্তানসম্ভবাও? কৌস্তভের ফেসবুক পোস্টে শুরু তোলপাড়

উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বীরভূমে জেলা সভাপতি পদ হারিয়েছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে রাখা হয়েছে কোর কমিটিতে। যদিও, কোর কমিটির ওই তালিকা প্রকাশের আগেই বীরভূমের ৩ টি মহকুমায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত। এদিকে, ওই মিছিলের বিরোধিতা করে সড়ক হয়েছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তবে, ওই বিষয়টিতে পরবর্তীকালে হস্তক্ষেপ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই কোর কমিটি অনুব্রতর ওই কর্মসূচিতে সিলমোহর দেয়।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ODI সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল, সূচি ঘোষণা করল BCCI

তবে, মহামিছিলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) এবং কাজল দুজনেই উপস্থিত থাকলেও তাঁরা পৃথক পৃথক গাড়িতে ছিলেন। যেখানে তাঁদের অনুরাগীদের দেখা যায়। এদিকে, তৃতীয় দিনের মিছিল শেষেও মঞ্চে ওঠেননি অনুব্রত। বরং, মিছিলের পরে সিউড়ি জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “৩ দিনের মিছিল সফল হয়েছে। প্রচুর মানুষ ছিল তৃণমূল কর্মীরা হলেন মাগুর ও চ্যাং মাছ। তারা পালাতেও জানেনা মরতেও জানেনা। যখন প্রয়োজন হয় ঠিক বেরিয়ে পড়ে। এই লোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক।”

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X