অনুব্রতর রাইস মিলে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর, অবশেষে মৃত্যু! প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গরু পাচার মামলায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোলপুরের (Bolpur) বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সে প্রসঙ্গেই এদিন অনুব্রতর রাইস মিলে হানা দেয় তদন্তকারী অফিসাররা। বর্তমানে সেখান থেকেই উঠে এলো বিস্ফোরক তথ্য!

এদিন সকাল হতেই অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও কন্যার নামে থাকা রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারা বাধা দেওয়া হলেও দীর্ঘ টালবাহানার শেষে ৪০ মিনিট পর মিলের ভেতরে প্রবেশ করে গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তবে ভেতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়ক কাজ হয়ে যায় তাদের। সূত্রের খবর, রাইস মিলটির ভেতরে সারে সারে পার্কিং করা থাকে একাধিক এসইউভি গাড়ি। উল্লেখ্য, এই সকল গাড়িগুলি কার নামে রয়েছে কিংবা ভিতরে কেন পার্কিং করা রয়েছে, সে প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট কোন জবাব দিতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষীরা।

তাদের মতে, বৃষ্টির জলের হাত থেকে বাঁচার জন্যই গাড়িগুলি মিলের ভেতরে পার্কিং করে রাখা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে জানতে ইতোমধ্যেই তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এর মাঝেই আবার কয়েক মাস পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনমাস পূর্বে রাইস মিলের ভেতরে এক নিরাপত্তা রক্ষীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলেও দাবি তার। তবে এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিটি কে কিংবা রাইস মিলের ভেতরে কেনই বা তাকে মারধর করা হয়, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, এদিন সকাল হতেই বোলপুরে ‘ভোলে বোম’ নামে একটি রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা এবং তাঁর স্ত্রীয়ের নামে রয়েছে। ২০১১ সালে হারাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই রাইস মিলটি ক্রয় করেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মিলটিতে মাঝেমধ্যে বসতেন সুকন্যা। এক্ষেত্রে অবশ্য স্কুল শিক্ষিকা হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে সুকন্যার রাইস মিলে বসার কারণ নিয়ে বিস্তর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।

murder 2

এদিন বোলপুরের মিলটিতে প্রবেশ করতে অবশ্য প্রথমে বাধা পায় সিবিআই। তালা লাগানো মিলের গেটের সামনে আসতেই প্রথমে ডাকাডাকি করে সিবিআই অফিসাররা। তবে প্রথমে কেউই দরজা খুলতে চাননি এবং পরবর্তীতেও মিলের ভেতর প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট পর অবশেষে মিলের ভেতর প্রবেশ করে তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। আর এর মাঝেই সারে সারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি এবং নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি ঘিরে শুরু বিতর্ক। তবে এ দাবি কতখানি সত্য, তা তদন্ত করে দেখবে সিবিআই।


Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর