বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক, দুই করে করে আজ সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। পঞ্চ ভোটের পর এই প্রথম বাংলার লোকসভা ভোটও কাটল অনুব্রত বিহীন। বীরভূম থেকে কয়েকহাজার কিলোমিটার দূরে বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল(Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে তার ঠিকানা এখন দিল্লির তিহাড় জেল।
গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বহুদিন জেলবন্দি বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল। সেই ২০২২ এর মাঝের দিকে গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন দাপুটে নেতা অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। বাংলার সীমানা পেরিয়ে এখন তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বহু বার জামিনের আর্জি জানান কেষ্ট। তবে কোনও বারই সুরাহা মেলেনি।
বীরভূমের রাজত্বপাট ছেড়ে আজ বহু দূরে তৃণমূলের নয়নের মণি কেষ্ট। তবে বাংলা থেকে দূরে আছেন মানে এই না যে রাজনীতির কিছুই খবরাখবর পান না তিনি , রাখেন না তিনি। জেলে বসেই জেলার রাজনীতি, রাজ্য রাজনীতি, দেশের রাজনীতির খবরাখবর রাখেন অনুব্রত। তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া মানুষদের কাছ থেকেও তিনি খবরাখবর। আর এবার ভোটের মাঝেই জেল থেকে নয়া বার্তা দিলেন বীরভূমের বাঘ। বললেন, ‘আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার বলব’।
জানা গিয়েছে নিজের জেলার জন্য এই বার্তা পাঠিয়েছেন অনুব্রত। জেলে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া মানুষদের থেকেই কেষ্ট জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে খাতায়কলমে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রাখলেও জেলার কিছু কিছু নেতারা নিজের নিজের এলাকায় নিজেদের মতো করে দল চালাতে চাইছেন। প্রকাশ্যে অনুব্রতর বিরোধীতাও করতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: ‘দিদি নম্বর ওয়ান’এর জীবনে বিরাট দুঃসংবাদ! কাছের মানুষকে হারিয়ে দিশেহারা রচনা
জানা গিয়েছে, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক নেতা কিছুদিন আগে কেষ্টরে সঙ্গে জেলে দেখা করতে যান। বেশ কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কেষ্টর কথাও হয়। সেই নেতাই জেলায় ফিরে জানিয়েছেন, দলের কিছু নেতার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। যারা একসময় অনুব্রতর কথায় চলত আজ তারাই বিপথে হাঁটতে চাইছে। তাই তাদের উদ্দেশে কেষ্টর বার্তা, ‘আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার বলব’।