বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডল গ্রেপ্তার হয়েছেন ইডির (Enforcement Directorate) হাতে। আগেই অনুব্রত মণ্ডল মেয়েকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হন। এবার ইডি আধিকারিকদের হাত ধরে তিনি প্রশ্ন করলেন, “মেয়েকে গ্রেফতার করলেন, বিবেকে বাঁধলো না?” অনুব্রত মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার পেশ করা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।
অনুব্রত আদালত কক্ষে পৌঁছান হুইল চেয়ারে। এর আগে ইডিকে অনুব্রত মণ্ডল তার শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন,৭২ থেকে ৭৫ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে হৃদযন্ত্রে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে তার। সমস্যা রয়েছে লিভারে। ওষুধ খান নিয়মিত। একটা রুটি আর ডাল খান। আদালতের নির্দেশে আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়ে অনুব্রত আর্জি জানিয়েছিলেন তাকে তিহাড় জেল থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে স্থানান্তরের জন্য। যদিও তদন্তকারীরা অনুব্রত মণ্ডলের এই অনুরোধে বিশেষ আমল দেননি। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেষমেষ বিচারপতি অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি খারিজ করে দেন। বিচারক বলেন অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য ভিত্তিহীন।
এরপর আদালত চত্বরেই বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। তদন্তকারীদের হাত ধরে বলেন, “গ্রেফতার করলেন মেয়েকে। বিবেকে বাঁধলো না?” যদিও ভাষাগত সমস্যার কারণে প্রথমে অনুব্রতর কথা বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরা। এরপর এক আধিকারিক বলেন, “কী আর করার আছে!”
অন্যদিকে, মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের সাথে কথা বলার অনুমতি পেয়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। বাবা ও মেয়ে শুধুমাত্র শনিবার কথা বলতে পারবেন। তবে, কন্যা সুকন্যাকে নিয়ে হতভাগা বাবা অনুব্রতর দুশ্চিন্তা বাড়ছে একথা বলাই বাহুল্য। আজ আরো চার দিন বৃদ্ধি করা হয় অনুব্রতর জেল হেফাজত। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে আগামী ৮ই মে।