বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই নিয়ে লাগাতার চার বার৷ সিবিআইয়ের তলব এড়ালেন অনুব্রত মন্ডল। গরু পাচার কাণ্ডে সোমবাফ নিজাম প্যালেসে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও বরাবরের মতই তা এড়িয়ে গেলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার আইনজীবির মাধ্যমেই চিঠি পাঠিয়ে দিলেন তিনি সিবিআইয়ের দপ্তরে। আপাতত হাইকোর্টে তাঁর দায়ের করা তলব খারিজ সংক্রান্ত মামলার রায় না বেরোলে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে রাজি নন তৃণমূল নেতা।
সোমবারই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। সিবিআইয়ের তলব এড়াতে দ্বিতীয় বারের জন্য রক্ষাকবচ চেয়ে গত সপ্তাহেই হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানে শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের কৌশলী দাবি করেন, ‘সবই করে বেড়াচ্ছেন অনুব্রত বাবু। পার্টির সম্মেলন, সাংবাদিক সম্মেলন, স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড, এত সব করতে পারলে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে অসুবিধেটা ঠিক কোথায়?’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর যদি মনে হয়ে থাকে যে হাজিরা দিলে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করবে, তাহলে আগাম জামিনের আবেদন কেন করছেন না তিনি? এটি ২০১৯ সালের মামলা। পুরোনো মামলায় রক্ষাকবচ দেওয়া মানে তদন্তে হস্তক্ষেপ করা। আদালত কখনওই তা করতে পারে না।’ এরপরই সেই রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ফলে এবার ডিভিশন বেঞ্চেই আবেদন জানান তৃণমূল নেতা।
এর আগেও ৩ বার সিবিআইয়ের তলব একাধিক অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে গেছেন এই তৃণমূল নেতা। বারবার শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়েছেন তিনি। সোমবার হাজিরা না দেওয়ার পর মঙ্গলবার অন্তত সশরীরে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এদিনও গেলেন না অনুব্রত। তাঁর দাবি, যতদিন না আদালতের রায় বেরোচ্ছে ততদিন হাজিরা দেবেন না তিনি। উল্লেখ্য, বুধবারই এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার তলব এড়ালে যে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে লড়া আইনী ব্যবহৃত নেওয়া হবে তা আগেই জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাতে কার্যতই কুছ পরোয়া নেহি ভাব দেখিয়ে এবারও নিজাম প্যালেসের ধারেকাছেও দেখা মিলল না তাঁর। বদলে চিঠি সহ পাঠিয়ে দিলেন আইনজীবীকেই। তাঁকে হাতে না পেয়ে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে ডেকে বহুক্ষণ ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। সিবিআইয়ের সঙ্গে কেষ্টর এই লুকোচুরিতে যে কার্যতই ধৈর্য্যের সীমা ছাড়াচ্ছে তদন্তকারীদের তা বলাই বাহুল্য। এর ফল যে কঠিন হতে পারে তৃণমূল নেতার জন্য তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।