বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাত দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। বাকি রয়েছে আর মাত্র এক দফার নির্বাচন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ দফার নির্বাচন হবে রাজ্যে ২ মে গণনা। শেষ দফায় রাজ্যের ৩৫টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালদহের এক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হওয়ার পর একটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ২৯ তারিখ ৩৪টি আসনের মধ্যে বীরভূমের ১১টি আসনও রয়েছে। আর নির্বাচনের আগে বীরভূমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য বদ্ধপরিকর কমিশন।
তবে ভোটের কদিন আগেই বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বেহিসাবি সম্পত্তির জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। আর এবার সপ্তম দফার নির্বাচনের দিনে গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। আর এই নিয়েই এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তবে সপ্তম দফার নির্বাচনের দিনেই অনুব্রতবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, ওনাকে নোটিশ পাঠিয়ে আর তলব করে দমানো যাবে না।
আজ মঙ্গলবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। তবে উনি আজ সিবিআই-এর তলবে সাড়া দেননি। পাল্টা সোমবার বীরভূমের একটি জনসভাতে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘দরকার হলে কালকেই আবির খেলব।” সোমবার দুবরাজপুরের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি ছোট জনসভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখান থেকে চিরাচরিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপিকে নিশানা করেন অনুব্রত মণ্ডল।
সেই সভা থেকে অনুব্রতবাবু বলেন, বাংলায় করোনার বর্ধিত প্রকোপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই দায়ী। তিনি এও বলেন যে, বাংলায় আট দফার নির্বাচন করার নায়ক নরেন্দ্র মোদী। তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ২ মে ১০০ বার খেলা হবে। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আজকের ৩৪ আসনের মধ্যে ৩২টিই তৃণমূলের দখলে আসবে। আমরা ২১০ পার করে ফেলেছি। দরকার হলে কালই আবির খেলব।