বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’বছর পর বাংলায় ফিরছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার হওয়ার পর অধিকাংশ সময় দিল্লির তিহাড় জেলে কাটিয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে একাধিকবার অসুস্থ হয়েছে পড়েন তিনি। নানা শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছিলেন। অনেকেই বলছিল বাঘ এখন আর বাঘ নেই। তবে কোথায় কি! জেল থেকে জামিন পেতেই বায়না শুরু অনুব্রতর। যা শুনে ভিমরি খাচ্ছেন অনেকেই।
সূত্রের খবর, জেল থেকে বেরিয়েই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা চাইছেন অনুব্রত। কেষ্ট তার ঘনিষ্ঠ এবং আইনজীবীদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু দিল্লি পুলিশের তরফে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাই কেষ্টর আবদার মেটাতে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা জেসি কি না দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে অনুব্রতর। সূত্রের খবর, জেল থেকে বেরোনোর পর দিল্লিতে থাকতে নারাজ কেষ্ট। যত দ্রুত বাংলায় ফিরে আসা যায় সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এমনও জানা যাচ্ছে সম্ভব হলে সোমবার রাতেই কলকাতা ফেরার ফ্লাইট-এর টিকিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে অনুব্রতর বায়না মেটানোর জন্য।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিহাড় থেকে বেরিয়েই দিল্লি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত। সেখানে বিমানে চেপে সোজা পৌঁছবেন কলকাতা বিমানবন্দরে। তবে কলকাতায় পা রেখে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা হোক তা চাইছেন কেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহাড় জেলে রাখা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। এতদিন তিহাড়েই ছিলেন তৃণমূলের কেষ্ট। এবার ফিরে আসছেন বাংলায়।
২০২২ সালের অগাস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতারির সময় অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ছিল ১১৫ কেজি। আর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় অস্বাভাবিকভাবে প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের। বর্তমানে একদম ফিট বীরভূমের বাঘ। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে কেষ্টর।
আরও পড়ুন: অধীর-জমানায় ইতি! তৃণমূলের সঙ্গে এবার ‘নরম সম্পর্ক’? চমকে দেওয়া উত্তর শুভঙ্করের
আদালতের নির্দেশ, এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় তাকে হাজির থাকতে হবে। তিনি কখনো বিদেশ গেলে তার নিম্ন আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তা ছাড়া তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তা তদন্তকারী অফিসারদের দিতে হবে। কখনও তিনি ফোন বন্ধ করতে পারবেন না। এই মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।