বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝে জেলের গন্ডির ভেতর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। দু’বছর পর সবটা আপাতত স্বাভাবিক। এবার কালীপুজো (kalipuja 2024) করবেন বোলপুরে জেলা পার্টি অফিসে। যদিও নিজের হাতে আর মা কালীকে সোনার গয়না পরাবেন না বলেই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সে এক ছিল কোনও সময়, যখন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নিজের হাতে ভরি ভরি সোনার গয়না দিয়ে কালী মূর্তিকে সাজাতেন। তবে বর্তমানে বদলে গিয়েছে সেই চিত্র।
রবিবার খয়রাশোলে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই তিনি বলেন, গত বছর যারা গয়না পরিয়েছিলেন, এবারও তারাই গয়না পরাবেন। যদিও এর পেছনে কি কারণ তাও জানিয়েছেন কেষ্ট। অনুব্রত বলেন, ‘‘কাকার মৃত্যুতে আমাদের এখন কালাশৌচ চলছে। তাই পার্টি অফিসে গিয়ে দেবীকে দূর থেকেই প্রণাম করব। পুজোতেও থাকব। কিন্তু পুজো দেওয়া বা গয়না পরানো এসব কাজে হাত দেব না। ”
প্রসঙ্গত, বোলপুরে তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে কালীপুজো শুরু হয় অনুব্রতর উদ্যোগেই। ধুমধাম করে হয় সেই পুজো। শোনা যায়, ২০২০ সালের কালীপুজোর সময় অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমাকে ৩৬০-৩৭০ ভরি গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই অলংকারের পরিমাণ এক লাফে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৬০-৫৭০ ভরিতে। যার বাজার মূল্য মোটামুটি তিন কোটি টাকারও বেশি। তবে অনুব্রতর জেলযাত্রার পর থেকে সেই জাঁকজমক কমতে থাকে।
গতবছর নাকি সোনার বদলে ইমিটেশনের গয়না পরানো হয়েছিল কেষ্টর কালী প্রতিমাকে। আসলে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে পড়ে কেষ্টর কালীর গয়না। সেইসময় বোলপুরে তৃণমূলের দপ্তরেও হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে কেষ্টদের কালীপুজো পরিচালনা হয় একটি ট্রাস্ট এর দ্বারা। ঠাকুরের যাবতীয় গয়নাও তাদের কাছেই রাখা থাকে।
আরও পড়ুন: ইউসুফদের বিজয়া সম্মেলনীতে নেই! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে পুড়ল কপাল? জীবনকৃষ্ণ বললেন…
কেষ্টর কালী মায়ের গয়নার সন্ধানে এর আগে লকারেও হানা দিয়েছিল ইডি। তবে কোনো গয়নাই সেখানে মেলেনি। এবারে অবশ্য কেষ্ট থাকবেন। অনুব্রত জানিয়েছেন, ‘‘গতবারের মতোই এবারও একইভাবে কালীপুজো হবে। লোকও খাওয়ানো হবে।’ তবে কালাশৌচ থাকায় উপস্থিত থাকলেও অনুব্রত নিজে কিছু করবেন না বলে জানিয়েছেন।