তিহাড়ে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান! ED দফতরে হাপুস নয়নে কেঁদেই চলেছেন কেষ্ট কন্যা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বাবা কেষ্টর পর সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতে তিনি। অফিসারদের টানা জেরা আর কড়া প্রশ্নবাণের মুখে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির আদরের মেয়ে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের চাবুক প্রশ্নে ভেঙে পড়েছেন সুকন্যা। কাঁদিয়েই ভাসাচ্ছেন। শুধু একটাই বুলি, ‘আমি কিছু করিনি। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও নথি দিতে পারব না।’

সুকন্যা গ্রেফতারির পর উঠে এসেছে তার বান্ধবী সুতপা প্রসঙ্গও। এই সুতপাকে নিয়েই ইডির তলবে সাড়া দিয়ে দিল্লি পৌঁছন সুকন্যা। তবে সেখানেই গিয়েই হলেন গ্রেফতার। একা পরে রইলেন সুতপা। সুকন্যার গ্রেফতারির পর থেকেই হাপুস নয়নে কেঁদে চলছেন বান্ধবী। ইডি সূত্রে খবর, এদিন সূত্রের খবর, অফিসারদের কাছে সুকন্যা তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

শুধু বান্ধবীই নয়, তিহাড়ে বাবার সঙ্গেও দেখা করার আর্জি করেন সুকন্যা। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বীরভূমে বিঘার পর বিঘা জমি। একজন স্কুল শিক্ষিকা হয়ে তার এই বিপুল সম্পত্তির আছে উৎস কি সেই নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

anubrata, sukanya

ইডির দাবি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের মোটা টাকা জমা পড়েছে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে সবটাই বড় অদ্ভুত। কারণ কখনও সেই জমা পড়া অর্থের পরিমান ৪৯.৯৯০, আবার কখনও ৯০.৯৯০। ইডির অনুমান পাচারের টাকায় অনুব্রত মেয়ের নামে সম্পত্তি করেছে। তবে এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে আগেভাগেই হাত তুলে নিয়েছেন সুকন্যা।

ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা দাবি করেছেন, যারা টাকা রেখেছেন, তারাই বলতে পারবেন কোথা থেকে টাকা এল। সুকন্যার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক, রাঁধুনি, অথবা কখনও তার গাড়ির চালক ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করেছেন বলে দাবি ইডির। এবার কি করে এই মামলার রহস্যভেদ হয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর