বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বর্তমানে তিহাড় বন্দি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। গতবছর অগাস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। এরপর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে চলতি বছর এপ্রিলে ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেষ্ট কন্যা। সেই থেকেই বাবা-মেয়ের ঠিকানা দিল্লির তিহাড়।
জামিন অধরা
বিগত কিছুমাস থেকে নানা কারণ দেখিয়েও আদালত থেকে জামিন পাননি কেউও। এখনও জামিন অধরাই রয়ে গিয়েছে বীরভূমের হেভিওয়েট এই নেতা ও তার কন্যার। গত মে মাসে বোলপুরের পৈতৃক বাড়ি বাদে অনুব্রতের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সুকন্যার নামেও পাহাড়প্রমাণ সম্পত্তির হদিস মিলেছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন সময়! বাধা পেলেই গ্রেফতার, বিচারপতি গাঙ্গুলির চরম নির্দেশে ভয়ে কাঁপছে অসাধু প্রোমটাররা
বিরাট দাবি কেষ্ট কন্যার
কেটে গিয়েছে বহু সময়। এরই মধ্যে এবার সুকন্যা তার নিজের নামে থাকা বিপুল সম্পত্তি, বিভিন্ন সংস্থার বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে দিল্লি হাই কোর্টে সওয়াল করলেন তার আইনজীবী। এই নিয়ে ফের একবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জামিন পেতে মরিয়া
সূত্রের খবর, জামিন পেতে আজ সুকন্যার তরফে হাই কোর্টে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, অনুব্রত ও তার হিসেবরক্ষক (CA) মণীশ কোঠারি মিলে সুকন্যাকে যে কাগজে সই করতে বলতেন, তিনি সেখানে সই করে দিতেন। অর্থাৎ জামিন পেতে মরিয়া সুকন্যা নিজের বাবার দিকেই দায় ঠেললেন।
কেষ্ট কন্যার এই দাবির পর এদিন আদালতে বিচারপতি জ্যোতি সিংহের প্রশ্ন করেন, এক জন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা হয়েও কি উনি বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর হতে পারেন? জবাবে সুকন্যার আইনজীবী জানান, কোন সংস্থায় ডিরেক্টর করা হয়েছে, এইসব বিষয়ে তার মক্কেল কিছুই জানতেন না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে।