বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তিনি। বাঘ গরুকে এক ঘাটে জল খাওয়ানোর প্রবাদ তার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা ফলে যায়। একুশের নির্বাচনে এই দাপুটে অনুব্রতর কাঁধেই ছিল বীরভূমের দায়ভার। এবারও তার অনুমান মিলেছে, বীরভূমে দুর্দান্ত ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের প্রথম কাজ করোনা সামলানো। সেই সূত্র ধরেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও। নির্বাচনের আগে খেলা হবে শ্লোগান ছিল মুখে আর এবার তিনি ছিলেন ময়দানে। কিন্তু শরীর সাথ দেয়নি এই দাপুটে নেতারা।
গত ২৭ নভেম্বর হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জ্বর এবং প্রবাল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সঙ্গে সঙ্গে। এক্স-রে রিপোর্টে ধরা পড়ে বুকের সংক্রমণ। তারপরেই আর তেমনভাবে ঝুঁকি নিতে চাননি ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। ভয় ছিল কোভিড আক্রান্ত হওয়ারও। এমনিতেই বেশ কিছু সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। হাই সুগার, রক্তচাপের সমস্যা এবং অন্যান্য রোগে যথেষ্ট কাবু এই দাপুটে নেতা। মনের মাঝে মাঝেই কলকাতায় চেকআপ করাতেও আসেন তিনি। এবার সমস্যা ছিল অনেকটাই জটিল। স্ত্রীকে হারিয়েছেন আগেই, অনুব্রত সর্বক্ষণের সঙ্গী শুধু মেয়ে। বাবার সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।
অবশেষে আজ পাওয়া গেল স্বস্তির খবর। করোনা রিপোর্ট সম্পূর্ণ নেগেটিভ এসেছে তার। অন্যান্য সমস্যা থেকেও এখন তিনি মুক্ত। একইরকম দাপুটে মেজাজ বজায় রেখে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আজ অনুব্রত বলেন, “আমার করোনা হয়নি। তবে কলকাতা গিয়ে পুরো শরীরের চেক আপ হয়ে গেল। ভোটে অনেক খাটাখাটনি হয়েছিল, ভাল হল এই চেক আপ করে। আমি যে দৌড়াতাম অর্থাৎ যে ঘোড়া ছিলাম সেই ঘোড়াই আমি আছি।” খুব তাড়াতাড়ি যে কাজে ফিরছেন সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বোলপুরে ফের একবার অনুব্রতকে দেখে খুশি দলের কর্মী-সমর্থকরাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দাপুটে নেতার হাত ধরেই বীরভূমের ১১ টি আসনের দশটিতেই জয় তুলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের দুর্দান্ত ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গে তাই কথা রেখেছেন অনুব্রতও। সেই কারণেই ফের একবার এই দাপুটে নেতাকে সুস্থ শরীরে দেখে খুশির হাওয়া তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।