দলের প্রাক্তন বিধায়ক দল ছাড়ার পড়ে গোষ্ঠী দ্বন্ধ কমেছে, অকোপট স্বীকারোক্তি অনুব্রতর

বাংলা হান্ট ডেস্ক :রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় যে নানুরকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেই নানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন গদাধর হাজরা । কিন্তু স্থায়িত্ব ছিল মাত্র পাঁচ বছর । ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই আসন হারাতে হয় । তবে এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে  সেই হারা আসনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে যাওয়ার জন্য় বিপুল ভোটে জয়ের আশা দেখছে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডল ।images 6 1

তবে একসময় বীরভূমের নানুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় যে গোষ্ঠীদ্বন্ধ হত তা স্বীকার করে নিতেন না, বিশেষ করে গদাধর হাজরা বিধায়ক আসনে থাকার সময়ে গোষ্ঠীদ্বন্ধের নামই উচ্চারণ করা যেন মহাপাপ ছিল । তবে এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্ধের কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত । এবার সেই নানুরেি এক সভা থেকে প্রাক্তন বিধায়কের আমলে গোষ্ঠীদ্বন্দ হত বলেই স্বীকার করেন নেন অনুব্রত ।

তাঁকে বলতে শোনা য়ায প্রাক্তন বিধায়ক দল ছাড়ার পরে এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ কমেছে । একইসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায় গদাইও নেই গোষ্ঠীও নেই । যদিও একানেই থেমে থাকেননি, আসন্ন বিধানসবা নির্বাচনে ভালো ফল হওযার আসাও রেখেছেন ।  অর্থাত্ স্পষ্ট্য করে নিজের মুখে কিছু না বললেও গোষ্ঠী দ্বন্ধ কমেছে বলে আসন্ন বিধানসভায় ভালো ফল করার একপ্রকার ইঙ্গিত দিলেন, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ।

আসলে দ্বন্ধের শুরুটা হয়েছিল গদাধর আর কাজলের মধ্যে । এলাকায় দাপটের সঙ্গে পাঁচবছর রাজত্ব করলেও ২০১৬য় হেরে যাওয়ার পর একপ্রকার কাজলকেই ভালো নজরে দেকা শুরু হয় । এমনকি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময়ও কাজল শেখের দৌলতে জেলায় ভালো ফল হয় ।

তাই কিছুটা হলেও গদাই যেন আড়ালে চলে যায় । কারণ, লোকসভা ভোটের পর কাজল শেখকে নানুর ব্লকে দলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়। তারপরই দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেয় গদাধর । তাই তো সভা থেকে গদাই না থাকার জন্য ভালো ফলের আশা করেন অনব্রত ।


সম্পর্কিত খবর