বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনুকূল ঠাকুর (Anukul Thakur) এবং তার সৎসঙ্গের সাথে কমবেশি সকলেই পরিচিত। বর্তমানে সৎসঙ্গের বহু আশ্রম রয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় ৫ হাজারের বেশি। ভারত সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে তিনি কি সত্যিই শ্রদ্ধা, ভক্তির পাত্র? এই প্রশ্নও তুলেছেন অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গরা। তাকে পুজো করার বিষয়টাও বহুল বিতর্কিত।
যদিও আমাদের আজকের আলোচনার তিনি নন। আজ বরং আমরা কথা বলব তার নাতির নাতি অবিন ঠাকুরের (Abin Thakur) কর্মকাণ্ডের কথা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে, শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুর নিজেকে দেবতার অবতার বলে ঘোষণা করার পর তাকে তো পুজো করা হতই। এবং বর্তমানে বংশপরম্পরায় তার উত্তরসূরিরাও পুজো পেয়ে থাকেন। এই যেমন আজকের দিনে পুজো পেয়ে থাকেন তার নাতির নাতি অবিন ঠাকুর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুকূল ঠাকুরের অনুগামীরা দাবি করেন, তিনিই ঈশ্বর এবং তিনিই পরমাত্মা। তাকে পরমাত্মা ঘোষণা করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটা জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেছিল তার ভক্তবৃন্দরা। যদিও শীর্ষ আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। এবং বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দেয়, প্রত্যেকের নিজ নিজ আরাধ্য বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। সৎসঙ্গীরা তাকে পরমাত্মা ভাবতেই পারেন তবে অন্য কাউকে জোর করার অধিকার তাদের নেই।
আর সম্প্রতি সেই অনুকূল ঠাকুরের নাতির নাতি অবিন ঠাকুরেরই একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। যা দেখার পর থেকেই ক্ষেপে উঠেছে নেটিজনদের একাংশ। ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অবিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে নিয়ে আগত ভক্তদের সাথে অভব্য আচরণ করছে। আবার কখনো সে মঞ্চে রাখা সাউন্ড সিস্টেমের উপরে পা রাখছেন।
এরই মধ্যে এক সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে তুই তোকারি অবধি করেন তিনি। আবার কখনও টাকার বান্ডিল দেখিয়ে বলেন, ‘মন্ত্রীমশাইগুলোকে এদিকে ডাক, সবকটা মূর্খ।’ এই বলে একতাড়া নোটের বান্ডিল এক ব্যক্তির হাতে ধরিয়ে দেন তিনি। নেটিজনদের দাবি, এইসব মন্তব্য করার সময় রীতিমত নেশা করেছিলেন অবিন। এহেন একটি মানুষকে কেউ কীভাবে দেবতার আসনে বসিয়ে পুজো করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আম জনতা।