বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন জগতের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক বরাবরই খুব ঘনিষ্ঠ। দুই জগৎ একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু সম্পর্কটা যে সবসময় খুব ভাল থেকেছে এমনটা কিন্তু নয়। অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের বিবাদের উদাহরণ সাম্প্রতিক কালে যেমন রয়েছে, অতীতেও ছিল। তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা, অনুপম খেরের (Anupam Kher) প্রকাশ্যে এক সাংবাদিককে চড় মারা।
এই ঘটনা অবশ্য বেশ অনেক বছর আগের। ১৯৯২ সালে এক নামী বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে অনুপমের চর্চিত পরকীয়া নিয়ে ফলাও করে প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। বিষয়টা নিয়ে এতটাই ক্ষেপে গিয়েছিলেন অভিনেতা যে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে নিজের সিনেমার সেটে সপাটে চড় কষিয়েছিলেন ওই সাংবাদিককে। পালটা ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে বড়সহ বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল মিডিয়া।
বিতর্ক নিয়ে সে সময়ে এক টক শোতে মুখ খুলেছিলেন অনুপম। অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য তাঁর করা স্ট্রাগলের কথা প্রকাশ্যে এনে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা নিজের সোনার চুড়ি, বাসন বিক্রি করে তাঁর পড়াশোনার খরচ চালিয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত পরিশ্রম, অভিনয়ের শিক্ষা সব কিছুর মূল্য এই একটা ভুয়ো খবরে শূন্য হয়ে গিয়েছে, ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনুপম।
তবে ওই ঘটনায় নিজের ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছিলেন অনুপম। সম্প্রতি একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সলমন খান, সঞ্জয় দত্তদের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। চড় বিতর্ক নিয়ে সলমনকে বলতে শোনা যায়, ‘উনি যে থাপ্পড় মেরেছেন, খুব ভাল করেছেন। কারণ এরা আমাদের যে ভুল ভাবমূর্তিটা তুলে ধরছেন তা থাপ্পড় মারার থেকেও খারাপ’। সঞ্জুবাবাকেও সমর্থন করে বলতে শোনা যায়, অনুপমের জায়গায় তিনি থাকলে মুখই ভেঙে দিতেন।
উল্লেখ্য, সে সময়ে অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির বোনের সঙ্গে অনুপম খেরের চর্চিত পরকীয়া নিয়ে লেখা প্রতিবেদনটিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল অভিনেতা এবং কলাকুশলীরা। পরবর্তীকালে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টা মিটমাট হয়।