ইন্দ্রানী সেন,বাঁকুড়া: ‘হনুব্রত মণ্ডলের ঝাঁঝ এতোটাই মিইয়ে গেছে যে বীরভূমের দু’টো আসনই বিজেপি পাচ্ছে’। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বীরভূম ও বোলপুর দু’টো আসনেই আমরা জিতছি। আর যে নিজের এলাকায় ‘ফুটো মস্তান’ সে এখানে ‘শয়তানি আর মস্তানী করতে আসছে’ অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কোন দিন ওনার বিষ্ণুপুরে কোন জায়গা ছিলনা, ভবিষ্যতেও থাকবেনা।
বহু আলোচিত ‘নকুলদানা’ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, উনি যতোই নকুলদানা বিলি করুন আমাদের কর্মী, সমর্থকরা নকুল দানা দিয়ে জল খেয়ে বিজেপিকেই ভোট দেবে। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিজেপি নেত্রী সুজাতা খাঁ ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের মতো একজন ‘সন্ত্রাসবাদী’কে বিষ্ণুপুরে সন্ত্রাস করার জন্য ঢোকানো হচ্ছে। বিষ্ণুপুরের মানুষ ১২ মে এর যোগ্য জবাব দেবেন ও ২৩ মে ফল প্রকাশের দিন সৌমিত্র খাঁ বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলেও এদিন সুজাতা খাঁ দাবী করেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের ‘হেভিওয়েট’ নেতা ও বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ‘পর্যবেক্ষক’ নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে এখানে দলীয় প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার সমর্থণে তাঁর কয়েকটি জনসভা করার কথা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১২ মে এই কেন্দ্রে ভোটের দিন পর্যন্ত বিষ্ণুপুরে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকলেও থাকতে পারেন। যদিও জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এর স্ত্রী সুজাতা খাঁ এদিন বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। পরে তিনি ওন্দা বিধানসভা এলাকার মুডরা, গড়েরবন, শ্যামদাসপুর, তমালতল, সানবাঁধা, বগা, বক্রেশ্বর, আকুড়াবাঁধ সহ বিভিন্ন এলাকায় কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা গাড়ি চেপে স্বামী সৌমিত্র খাঁ এর সমর্থণে নির্বাচনী প্রচার করেন।
যদিও বিজেপি নেত্রী সুজাতা খাঁ এর অনুব্রত মণ্ডল বিষয়ে বক্তব্য বিষয়ে জেলা তৃণমূলের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।