বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত সবচেয়ে পুরনো মেগা সিরিয়াল হল স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। একটা সময় লাগাতার টিআরপি (TRP) তালিকায় বেঙ্গল-টপার হয়ে রেকর্ড করেছিল এই মেগা (Anurager Chhowa)। তবে ইদানিং সময়ের সাথে সাথে কমতে শুরু করেছে এই সিরিয়ালের টিআরপি। তবে টিআরপি স্কোর কমলেও দর্শকমহলে আজও একফোঁটা কমেনি অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের ক্রেজ।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) আসন্ন পর্ব
তাই আজও সূর্য-দীপা (Surjo-Deepa) জুটির রোম্যান্স দেখলে চোখ ফেরাতে পারেন না দর্শক। সেইসাথে এই সিরিয়ালের অন্যতম মূল আকর্ষণ সূর্য-দীপার জমজ সন্তান সোনা-রুপা (Sona-Rupa)। এত অল্প বয়সেই এই দুই অভিনেত্রীর নিখুঁত অভিনয় বারবার মন জয় করে নিয়েছে বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের। তবে মাঝে কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। অনুরাগের ছোঁয়া বড়সড় লীপ নিতে চলেছে।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় লীপ
যার ফলে এই সিরিয়ালে আর দেখা যাবে না দর্শকদের প্রিয় এই দুই খুদে অভিনেত্রীকে। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে চ্যালেন কর্তৃপক্ষ। যার ফলে আপাতত ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে অনুরাগের ছোঁয়ার আসন্ন ট্র্যাক। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সোনা-রুপা, সূর্য-দীপা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে গেলেও কিছুদিন আগেই দীপা ফিরে এসেছে সেনগুপ্ত বাড়িতে।
আরও পড়ুন : ‘বরণ’ সিরিয়ালের রুদ্রিককে মনে আছে? বহুদিন পর ছোটপর্দায় ফিরছেন সুস্মিত মুখার্জী
পাওয়া যাচ্ছে না রুপাকে
মা’কে ফিরে পেয়ে কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে সোনা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন খোঁজ নেই লাবণ্য সেনগুপ্ত আর রুপার। এই মুহূর্তে তাদেরকেই মরিয়া হয়ে খুঁজছে সূর্য-দীপা। ধারাবাহিকের দেখা গিয়েছে কোনো উপায় না পেয়ে, রুপাকে খুঁজতে ভগবানের দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সূর্য-দীপা। ওই একই জাগ্রত মন্দিরের গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছায় রুপাও।
একই মন্দিরে সূর্য – দীপা আর রুপা
সেখানে গিয়ে গণ্ডি দেওয়ার সময় রুপা দীপার পাশ দিয়ে গেলেও দেখা হয় না তাঁদের। কিন্তু স্বয়ং সিদ্ধিবিনায়ক ইঙ্গিত দেন রুপা খুব কাছাকাছিই রয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই রুপা যে ফুলের মালা দিয়ে গিয়েছে সেটাই পরানো হয়েছে গণেশ ঠাকুরের গলায়। আর সেই মালা দেখেই দীপা বুঝতে পারে ওই মালা রুপার হাতেই গাঁথা । কারণ দীপাই রূপাকে নিজে হাতে এই ভাবে মালা গাঁথা শিখিয়েছিল। তাই দীপা বুঝতে পারে রুপা নিশ্চয়ই আশেপাশেই রয়েছে। এরপর দেখা যায় মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে এসে তড়িঘড়ি মাইক নিয়ে সূর্য রুপার উদ্দেশ্যে অ্যানাউন্সমেন্ট করে এবং আশপাশের লোকজনের কাছেও রূপার খোঁজ করে। এখন দেখার সিদ্ধিবিনায়কের আশীর্বাদে আগামী দিনে সূর্য-দীপার কাছে রুপা ফিরে আসবে নাকি আবার সে তার বাবা-মায়ের থেকে দূরে চলে যাবে।