বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিয়ের পর পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ টা বছর। টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন অপরাজিতা আঢ্য (aparajita adhya)। কিন্তু নিজের পরিবারের কাছে তো সেই আগের মতোই রয়ে গিয়েছেন। অভিনয়ের কাজ সামলেও শ্বশুরবাড়ি, বাপেরবাড়ি সমান ব্যালেন্স করে চলেন অপরাজিতা। তাই তো তিনি সকলের প্রিয়।
শ্বশুরবাড়িতে এসে বাপের বাড়ির মতো আদর পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। একথা বহুবার বলেছেন অপরাজিতা। বিশেষ করে পেয়েছিলেন নিজের বাবার মতোই যত্নশীল শ্বশুরমশাইকে। নিজের মায়ের সঙ্গে শাশুড়ি মাকেও আগলে আগলে রাখেন তিনি। কিন্তু একটা ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। বিয়ের আগে আইবুড়ো ভাতটাই খাওয়া হয়নি তাঁর।
কিন্তু মেয়ের ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেননি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পঞ্চব্যঞ্জনে পাত সাজিয়ে বসিয়ে খাইয়েছেন অপরাজিতাকে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভাতের থালার পাশে থরে থরে বাটিতে সাজানো ডাল, মাছ, মাংসের মতো লোভনীয় পদ। টুকটুকে লাল সোয়েটারে সেজে আয়েশ করে ‘আইবুড়ো ভাত’ উপভোগ করেছেন অপরাজিতা।
কিন্তু এত বছর পর হঠাৎ আইবুড়ো ভাত কেন? রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নিজেই। ভিডিওতে তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন অপরাজিতা। এই নিয়ে দীর্ঘ আট বছর পর পিকনিকে এলেন তিনি। কাজের ব্যস্ততায় সময় করেই উঠতে পারেন না অভিনেত্রী।
https://www.instagram.com/p/CYPBiqnK3Rp/?utm_medium=copy_link
তাই এবারে অপরাজিতার জন্য করা হয়েছিল এই বিশেষ আয়োজন। খাবার সাজানোর এত বহর দেখে অভিনেত্রীর মনে হয়েছে তাঁকে আইবুড়ো ভাত দেওয়া হচ্ছে। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বিয়ের ২৪ গড়ানোর পর আইবুড়ো ভাত। মজা তুই যাবি কোথায়।’
প্রসঙ্গত, নতুন বছরে দুঃস্থ শিশুদের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন অপরাজিতা। কুড়ি একুশ জন দুঃস্থ শিশুর হাতে গরম জামা ও খাবারের কিছু প্যাকেট তুলে দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই কিছু হুডি জ্যাকেট, বিস্কুট, কেকের প্যাকেটের ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘একটু খানি ব্যবস্থা যাদের নিউ ইয়ার বলে কিছুই নেই। সব দিন একই রকম।’
https://www.instagram.com/p/CYHVj1pvfMh/?utm_medium=copy_link
বছর শেষের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন অপরাজিতা। দুঃস্থ শিশুদের হাতে গরম জামা ও খাবারের প্যাকেট তুলে দিয়েছেন তিনি। বদলে উপহার হিসাবে পেয়েছেন শিশুদের অমলিন হাসি। শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সারা বছরের সেরা আনন্দ।’ প্রতি বছরই এমন কিছু না কিছু উদ্যোগ তিনি নেন।