মাকে খোলা চিঠি অপরাজিতা আঢ্যর, দাদার বিয়ে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?

কিছুদিন আগেই দাদা বৌদিকে আইবুরোভাত খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যকে (Aparajita Adhya)। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা মিলেছিল গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ও বিয়ের। মায়ের অবর্তমানে সযত্নে দাদার বিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়ালন করেছেন বোন ও মেয়ের কর্তব্য। বিয়ের শেষে দাদার বিয়ে সম্পর্কে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। ২০ মাস হল তাঁর না গত হয়েছেন। তাই মাকে না বলা কথাগুলো খোলাচিঠি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। একঝলকে পড়ে নিন অভিনেত্রীর সেই ‘খোলা চিঠি’টি।

অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) লেখেন, ‘মা এটা তোমার গল্প। যতদিন বেঁচেছ কোনদিন ভালো করে আরাম করে বাঁচতে পারোনি সব সময় ভয় তাড়া করতো তোমায়। তোমার ছেলের কি হবে তোমার ছেলে আর পাঁচ জন মানুষের মত স্বাভাবিক নয় অত্যন্ত সরল আর সব ছেলের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা। কি হবে তোমার ছেলেটার যদিও তোমার মেয়ে আছে সে সব দায়িত্ব কর্তব্য করতে পারে কিন্তু তবুও তোমার কোথায় একটা ভয়, কোথায় একটা শঙ্কা, একটা অবিশ্বাস কাজ করতো তুমি না থাকলে ছেলে কি করে বাঁচবে ছেলে কি করে থাকবে তুমি কখনো একা থাকাতে বিশ্বাসী ছিলে না তুমি অসম্ভব বিয়ে তে বিশ্বাসী ছিলে’।

Aparajita Adhya

মায়ের অবর্তমানে সযত্নে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)

তিনি আরও বলেন, ‘তুমি সব সময় মনে করতে একা বাঁচা যায় না যদি আমরা সকলে পৃথিবীতে একাই আসি আর একাই যাই তবু এই পৃথিবী লোকে বাঁচার জন্য বোধহয় একজন সঙ্গীর খুব দরকার তুমি সারাক্ষণ সবাইকে বলতে আমার ছেলের কি করে বিয়ে হবে আমার ছেলে কে কে বিয়ে করবে আমার ছেলে কে কে বিয়ে দেবে তোমার পছন্দ করা পাত্রী রানী দিদি কিন্তু সেই সময় রানী দিদির সঙ্গে বিয়ে দেওয়াটা সম্ভব হয়নি আসলে সময়ের আগে কিছুই হয় না ।সেটা তুমিও জানতে কিন্তু মানতে না। মনে মনে কোথাও অসম্ভব চেয়েছিলে যে এই পাত্রী র সঙ্গে তোমার ছেলের বিয়ে হোক। পৃথিবী লোকের এটাই মাজা কেউ যদি সত্যি মন থেকে কিছু চায় তাহলে মৃত্যুর পরেও সেটা সত্যি হয়। আজকে তো তুমি শরীরের নামক খাঁচায় বাঁধা নেই সারা বিশ্বব্যাপী সারা অন্তরীক্ষ সর্বত্র তুমি বিরাজমান তুমি পরমাত্মার সঙ্গে লীন হয়ে গেছো এবং তুমি দেখছো আজকে দাঁড়িয়ে তোমার মৃত্যুর এক বছর ৮ মাস পর তোমার ছেলে আজ বিবাহিত’।

পোস্টে আরও লেখেন তিনি,’তুমি আজকে হয়তো আনন্দে আনন্দলোকে লীন হয়ে গেছো, আজ বোধহয় তুমি সব থেকে বেশি শান্তি পেয়েছ যে তোমার ছেলে বিবাহিত এবং তোমার পছন্দ করা পাত্রী তোমার পুত্রবধূ। আর আমার শান্তি আমি আমার সবটুকু দায়িত্ব যা যা তোমাকে বলেছিলাম। সবটা পালন করতে পারলাম। এখনো অনেক পথ বাকি আমি আছি। আমি থাকবো। ঈশ্বর আমার সঙ্গে আছেন তুমি নিশ্চিন্তে তোমার গন্তব্যে তোমার আগামী জন্মের যাত্রী হতে পারো ।প্রণাম নিও মা আজ তুমিও যতটা খুশি তোমার ছেলেও ততটা খুশি আজকে সত্যি সত্যি আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে। তুমি একটা কথা সবসময় বলতে বেটার লেট দ্যান নেভার আজ সেটাই প্রমাণ হলো আর এটাও প্রমাণ হল তুমি যতই চাও সময়ের আগে কিছু হয় না’।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর