বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবি (Bengali Film) নাকি সিনেমা হলে চলে না। টলিউডের প্রথম সারির একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীর মুখে একথা বহুবার শোনা গিয়েছে। তাই এবারে তাঁরা সরব হয়েছিলেন বাংলা ছবি, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে যদিও ‘অপরাজিত’ (Aparajito) নিয়ে প্রথম দিকে কারোর মুখেই কোনো প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি। তবে সমর্থন, তারকাদের প্রচার না পেয়েও খেল দেখিয়ে দিয়েছে পরিচালক অনীক দত্তের ছবি।
দর্শকদের প্রত্যাশা বেড়েছিল তখনি যখন সত্যজিৎ রায় রূপে জিতু কামালের প্রথম লুক প্রকাশ্যে এসেছিল। ছবিটি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু অত্যন্ত কম সংখ্যক হল, সর্বোপরি নন্দনে শো না পাওয়ায় মুষড়ে পড়েছিলেন তারা।
ছবি মুক্তির সাতদিন পরেও নন্দনে জায়গা হয়নি অপরাজিতর। তবে হল সংখ্যা ২২টা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০, আর এখন নাকি ১০০ ও পেরিয়ে গিয়েছে। বাংলা ও মুম্বই ছাড়াও একাধিক রাজ্যে চলছে অপরাজিত। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীও এসেছে এই ছবির হাত ধরে।
মাত্র এক সপ্তাহেই নাকি দেড় কোটি টাকা তুলে নিয়েছে অপরাজিত। প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ছবিটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১ কোটির বেশি কিন্তু ২ কোটির কম। অর্থাৎ এক সপ্তাহেই লাভের মুখ দেখেছেন নির্মাতারা। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে ব্যবসার অঙ্ক আগামী দিনে আরো বাড়বে বলেই আশাবাদী প্রযোজক।
পরিচালক অনীক দত্তের মুখেও হাসি। বেশি সংখ্যক দর্শক ছবি দেখলে ভাল তো লাগেই। উপরন্তু পরবর্তীকালে ছবিতে বিনিয়োগের উৎসাহও বাড়ে বলে মত অনীকের। নন্দনে এখনো পর্যন্ত জায়গা করতে পারেনি অপরাজিত। যদিও ইন্ডাস্ট্রির অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী পরিচালকের মতে, অপরাজিতর মতো একটি ছবির নন্দনে জায়গা হওয়াই সবথেকে বেশি জরুরি ছিল। তবে পরিচালক জানান, তৃতীয় সপ্তাহে ফের আবেদন করা হবে নন্দনে শোয়ের জন্য।