বাংলা হান্ট ডেস্ক: জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক হত্যার তীব্র নিন্দা করে মুখ খুললেন অপর্ণা সেন ৷ টুইটে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশু সন্তান সহ RSS কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হল৷ যে কারণই থাকুক না কেন, এই ঘটনায় আমরা লজ্জিত৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী দয়া করে অপরাধীরা যাতে আইনের হাতে ধরা পড়ে সেই ব্যবস্থা করুন৷ সমস্ত রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের দায়িত্ব আপনার৷ আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী৷”
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। বিরোধীশূন্য করতে তাণ্ডব, লুঠ, ধর্ষণ ও হত্যালীলা চালানো হচ্ছে।”
রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে আসছে গেরুয়া শিবির। সেই দিকে ইঙ্গিত করে আলোক কুমার বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার! ভারতের সংবিধান বাঁচাকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসে গিয়েছে।” কেরলের থেকেও বাংলার পরিস্থিতি খারাপ বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন অলোক কুমার। তাঁর কথায়, ”কেরলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে। আগামী নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবে।”
জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বেলডাঙায় তিনি বলেন,”কার উপরে ভরসা করবে মানুষ? আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। থাকলে তো উন্নতি অবনতি হয়!সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন? বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে আসরে নামানো হয়েছে।”