বাংলাহান্ট ডেস্ক: দূর্গাপুজো ও বিজয়া পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন (aparna sen)। এতদিন ধরে একে একে এপার ও ওপার বাংলার বহু শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীই এ বিষয়ে মুখ খুললেও চুপ ছিলেন অপর্ণা। অবশেষে নেটিজেনদের একাংশের কটাক্ষের পর সরব হলেন তিনি।
টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অপর্ণা লেখেন, ‘বাংলাদেশে এসব কী হচ্ছে? ওরা কি পাকিস্তানে পরিণত হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশি হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও তাদের মেরে ফেলার ঘটনা প্রায়ই খবরে উঠে আসে। থামুন, দয়া করে থামুন! গোটা বিশ্বটাই এমন হিংস্র স্থানে পরিণত হচ্ছে!’
এখানেই থামেননি অপর্ণা। অপর একটি টুইটে তিনি আরো লিখেছেন, ‘পুজোর সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অবিচারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাই। কোনো জায়গায় কোনো হিংস্রতাই সহ্য করা উচিত না।’ তবে এতদিন চুপ করে থাকার জন্য বুদ্ধিজীবী পরিচালককে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েননি বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
What has happened to Bangladesh? Is it turning into Pakistan? One keeps reading and hearing about Bangladeshi Hindus being tortured and killed! Stop! Please stop! The whole planet is becoming such a violent place!
— Aparna Sen (@senaparna) October 20, 2021
অপর্ণা সেনকে একহাত নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ঘুম ভাঙলো ম্যাডাম? আপনাদের বাড়ীর কাছে কি এখনো মোমবাতি কিনতে পাওয়া যায়? প্যালেস্টাইন, গাজা সব নিয়ে মন্তব্য থাকে আপনাদের শুধু হিন্দুদের কিছু হলে কেমন চুপ করে যান। কেন বলুন তো?’
ঘুম ভাঙলো ম্যাডাম? আপনাদের বাড়ীর কাছে কি এখনো মোমবাতি কিনতে পাওয়া যায়? প্যালেস্টাইন, গাজা সব নিয়ে মন্তব্য থাকে আপনাদের শুধু হিন্দুদের কিছু হলে কেমন চুপ করে যান। কেন বলুন তো?
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) October 20, 2021
বাংলাদেশে দূর্গাপুজোয় উপদ্রবকারী শক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন টলিউডের কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, দেবশংকর হালদার, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে রাণী রাসমণি রোডে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তসলিমা নাসরিনরা। দূর্গাপুজোর নবমীর দিন ওপার বাংলার কুমিল্লাতে মণ্ডপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে দূর্গাপ্রতিমা। নোয়াখালির ইস্কন মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে, খুন হয়েছেন মন্দিরের এক সদস্যও। রবিবার রংপুরের পীরগঞ্জেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের দুটি গ্রাম। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে নেটপাড়ায়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিতেও সরব হয়েছেন অনেকে।