বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন শ্রীঘরে রয়েছেন বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal)। না! কেবল গরু পাচারই নয়, হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে বহু মামলা সহ লটারি কাণ্ডেও (Lottery Issue)। কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন কেষ্ট। এমনই চাঞ্চল্যকর নথি আদালতে পেশ করেছিল ইডি(ED)। আর এবার আরও বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু অনুব্রত নয়, এছাড়াও রাজ্যের আরও ১২ জন প্রভাবশালী লটারির টাকা জিতেছেন বলে তোলা হচ্ছে দাবি।
ঠিক কি দাবি করছে ইডি? রাজ্যের বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বারংবার লটারি জিতেছেন। বীরভূম–সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছেন এই সমস্ত প্রভাবশালীরা। কেউ কেউ জেতা টিকিট দিয়েছেন নিজের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের। আর এভাবেই কালো টাকা হয়েছে সাদা। পুরস্কারের টাকা জমা পড়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে।
তবে কেন এখনো প্রকাশ্যে আসেনি এইসব লটারি প্রাপ্যকদের নাম? ইডি সূত্রে দাবি, এই প্রাপ্যকদের প্রাপ্ত টাকার অঙ্ক ৩০ থেকে ৪০ লক্ষের মধ্যে। বারবার তারা এই অঙ্কের লটারি জিতেছেন। এক, কোটি টাকার লটারি না মেলায় ছবি–সহ বিজ্ঞাপনে নামও বেরয়নি তাদের। আর এভাবেই বারবার লটারি জেতায় বিপুল পরিমাণ কালো টাকাকে সাদা করা সম্ভব হয়েছে। এবং প্রকাশ্যে আসেনি লটারি লাভের বিষয়।
কিভাবে পাঠানো হত এই বিপুল পরিমান লটারি লাভের অর্থ? ইডি সূত্রে খবর, ৩০ থেকে ৪০ লক্ষের মধ্যে লটারি জিতেছেন যারা তাদের খোঁজ করতেন প্রভাবশালীরা। এই খোঁজ মেলার পর তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হতো নগদের থলি। ওই টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে নেওয়া হতো। আর টিকিটের নম্বর লটারি সংস্থার আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন প্রভাবশালীরা। এভাবেই চুটকি বাজিয়ে কালো টাকা নিমিষে হত সাদা।
গরুপাচার মামলার তদন্তের মাধ্যমে ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, নির্দিষ্ট একটি লটারি কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সেই কোম্পানি থেকেই অনুব্রত ও তার কন্যা প্রায় পাঁচবার লটারি লাভ করেন। লটারি ইস্যুতে বিস্তারিত তথ্য পেতে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট লটারি সংস্থার এক কর্মীকে। তিনিই এই সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।