ভারত ছাড়াও আরো ২০ টি দেশের সাথে জমি বিতর্কে জড়িয়ে চীন, কড়া প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) চীন (China) সীমা বিবাদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দিলেন আরও এক বড় চমক। লাদাখের সীমা বিবাদে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। প্রথম থেকেই এই বিবাদে ভারতকে সমর্থন করে এসেছেন মার্কিন সম্রাট।

এরই মধ্যে তিনি চীনের আরও একটি খারাপ দিকের বিষয়ে সকলের সামনে উত্থাপিত করলেন। শুধুমাত্র ভারত নয়, ড্রাগনের কুদৃষ্টি রয়েছে আরও ২০ টি দেশের সীমানায়। যেসকল দেশের সঙ্গে এখনও সীমা বিবাদে জড়িয়ে রয়েছে জিনপিং সরকারের নাম।

নেপাল-চীন: অপর অপর বন্ধুত্ব দেখালেও নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ চলছে। তবে এরই মধ্যে সূত্র মারফত জানা যায়, নেপালের প্রায় ১২ টি এলাকা অবৈধভাবে দখল করেছে চীন সরকার।

চীন- ব্রুনাই: স্প্রেটলি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলকে চীন যেমন নিজের অংশ বলছে, তেমনই দক্ষিণ চীন সাগরের অংশকে নিজেদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশ বলে দাবী করছে ব্রুনাই।

চীন-ফিলিপাইন: দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ নিয়ে চীন এবং ফিলিপাইনদের মধ্যেকার বিরোধ আন্তর্জাতিক আদালতে গড়ালেও, চীন কোন নির্দেশ মান্য না করেই সেই বিবাদ জিইয়ে রেখেছে।

চীন-সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরের সাথেও সীমা বিবাদে লিপ্ত রয়েছে চীন।

চীন-ইন্দোনেশিয়া: দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তরাঞ্চলে মাছ ধরা নিয়ে সংঘাত ররয়েছে চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে। তবে এবিষয়ে ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে চীনের দাবীকে অগ্রাহ্য বলে ধরা হয়েছে।

চীন-মালয়েশিয়া: দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজের কুক্ষিগত করতে চায় চীন সরকার। সেই কারণে স্প্রটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়েও মালয়েশিয়ার সাথেও বিরধ রয়েছে চীনের।

লাওস-চীন: লাওসেরও বিস্তীর্ণ অঞ্চল চীন নিজের বলে দাবী করেছিল।

কম্বোডিয়া-চীন: বাদ যায়নি কম্বোডিয়াও। সেখানেও কিছু অংশ চীন সরকার নিজের বলে জোরজারি দেখায়।

ভুটান-চীন: চীনের কুদৃষ্টির রক্ষা পায়নি ভুটানও। সম্প্রতি বেজিংর অভয়রণ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ তুঙ্গে।

জাপান-চীন: চীনের সাথে জাপানের বিরোধ বহু প্রাচীন কাল থেকে। পূর্ব চীন সাগরে সেনকাকু দ্বীপ, রিউকি দ্বীপ নিয়ে চলতে থাকা বিবাদ এখনও জারী রয়েছে।

মঙ্গোলিয়া-চীন: মঙ্গোলিয়া এবং চীনের মধ্যেকার সংঘর্ষ সেই ঐতিহসিক আমল থেকেই।

ভিয়েতনাম-চীন: ভিয়েতনামের উপর চাপ সৃষ্টি করে নিজের কুক্ষিগত করতে বহুবার তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে চীন সরকার।

কাজাখস্তান-চীন: কাজাখস্তানের এক বিরাট অংশ চীন সরকার নিজের বলে দাবী জানায়।

রাশিয়া-চীন: ১৯৯১ এবং ১৯৯৪ সালের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর পরও ১৬০০০০ বর্গ কিমি এলাকা নিজের বলে দাবী করে চীন।

তাইওয়ান-চীন: তাইওয়ানকে চাপে রেখে তাঁদের সমস্তটা দখলের দাবী করে চীন সরকার।

উত্তর কোরিয়া-চীন: পেকাতু পর্বত এবং ইয়ালু ও তুমান নদী নিয়ে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার বিবাদ বহু পুরোন।

দক্ষিণ কোরিয়া-চীন: উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি বাদ যায়নি দক্ষিণ কোরিয়াও। পূর্ব চীন সাগরে লিওডো নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বিরোধে সামিল আছে চীন।

তাজিকিস্তান-চীন: ১৮৮৪ সাল থেকেই চীন এবং তাজিকিস্তানের মধ্যে বিরোধ অব্যহত।

কিরগিজস্তান চীন: কিছু অংশ নয়, পুরো কিরগিজস্তানটাকেই নিজের অংশ বলে মনে করে চীন সরকার।

থাইল্যান্ড-চীন: ২০০১ সাল থেকে মেকং নদীকে ঘীরে চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বিরোধ চলছে।

X