বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair), যা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দিন’দুয়েক আগেই এই মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এপিডিআর অর্থাৎ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি। তাঁদের দাবি ছিল বইমেলায় এবছর তাঁদের কোন স্টল বসাতে দেওয়া হচ্ছে না। এই কারণেই গিল্ডের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল এপিডিয়ার।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) খারিজ হল গিল্ডের বিরুদ্ধে আবেদন
আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) এজলাসে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এদিন বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন এপিডিআর-এর মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এবছর কলকাতা বইমেলায় এপিডিআর-এর কোনো স্টল থাকছে না। প্রত্যেক বছরেই কলকাতা বইমেলায় এই মানবাধিকার সংগঠনটির স্টল থাকে। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম হতে চলেছে।
বইমেলায় স্টল দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই গিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল সংগঠনটি। তাদের প্রশ্ন ছিল প্রতিবার কলকাতা বইমেলায় তাদের স্টল থাকলেও এ বছর কেন তাদের অনুমতি দেওয়া হলো না? একই সাথে গিল্ডের বিরুদ্ধে এপিডিআর-এর অভিযোগ ছিল বইমেলার স্টল বন্টনে স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না গিল্ড।
শুক্রবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি চলাকালীন গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে এপিডিআর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইসেন্স,রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ক্যাটালগ জমা দিতে পারিনি। এই নথি পত্রগুলি থাকলে তবেই বইমেলায় স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এপিডিআর এই সমস্ত নথি দেখাতে পারেনি। যদিও গিল্ডের দাবি উড়িয়ে দিয়ে এপিডিআর জানিয়েছে তাদের কোন লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেই। তারপরেই তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এপিডিআর-এর মামলায় উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, গিল্ড কোন সরকারি কাজ করছে না। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা। তাই গিল্ডের বিরুদ্ধে এই মামলার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এদিন এপিডিআরকে কোন স্বস্তি দিতে পারছে না বলেই আদালতে জানান জাস্টিস সিনহা। তবে তিনি জানিয়েছেন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে ওই সংগঠনটি বইমেলায় স্টল দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: অমিত শাহ যেদিন কলকাতায় এসেও…! ‘সেটিং’ রয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি তিলোত্তমার মায়ের
কলকাতা বইমেলায় প্রত্যেক বছরেই আলাদা স্টল বরাদ্দ রাখা হয় বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু এবছর বাংলাদেশের অশান্তির জন্য বইমেলার স্টলে তাদের বই থাকা একপ্রকার অনিশ্চিত। এই কারণেই বইমেলায় অংশগ্রহণকারি দেশগুলোর তালিকায় নাম নেই ওপার বাংলার। এ বিষয়ে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বইমেলায় আসা অসম্ভব।
একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোন নির্দেশ দেওয়া হলে তবেই বাংলাদেশকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যেতে পারে। তা না হলে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণ করতে বলার কোন প্রশ্নই উঠছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এখানে বলে রাখা ভালো, বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকায় সমালোচনা করেছিল এপিডিআর। তাই তাদের অভিযোগ বাংলাদেশকে নিয়ে সমালোচনা করেই এবছর বইমেলার স্টল থেকে বঞ্চিত তারা। আর এবার হাইকোর্টেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেল।