বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে টেকপ্রেমীদের কাছে ততই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে Apple-এর ডিভাইসগুলি। এমতাবস্থায়, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় iPhone প্ৰস্তুতকারী আমেরিকান কোম্পানি Apple-এর চিফ একজিকিউটিভ অফিসার (Chief Executive Officer, CEO) টিম কুক (Tim Cook) গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে ভারতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংস্থার পরিকল্পনার কথা জানান কুক।
উল্লেখ্য যে, Apple-এর রিটেল স্টোরসের উদ্বোধন করতে কুকের ভারত সফর দেশে ওই কোম্পানির ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি বড় লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার কুক মুম্বাইয়ে সংস্থার প্রথম রিটেল স্টোরের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাজধানীর সাকেতে Apple-এর দ্বিতীয় স্টোরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে করমর্দনের একটি ছবি শেয়ার করে কুক টুইটারে লিখেছেন: “ভারতের ভবিষ্যতে প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। আমরা দেশে বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এদিকে, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে জানিয়েছেন যে, কুকের সাথে দেখা করে তিনি অত্যন্ত খুশি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত অর্থবর্ষে দেশ থেকে মোবাইল ফোনের রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.১২ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯০,০০০ কোটি টাকা)। এতে Apple-এর প্রায় অর্ধেক অংশীদারিত্ব রয়েছে। পাশাপাশি, Apple-এর মুম্বাই স্টোরটি ব্রান্ডা কুরলা কমপ্লেক্সের মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন জিও ওয়ার্ল্ড ড্রাইভ মলে রয়েছে। কোম্পানিটি এর আগে Amazon-এর মতো রিসেলার বা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশে তার পণ্য বিক্রি করে আসছে।
এদিকে, ভারতে iPhone-এর অ্যাসেম্বলিং Apple-এর তিনটি কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স ফক্সকন, উইস্ট্রন এবং পেগাট্রন দ্বারা করা হয়। এছাড়াও, কোম্পানিটি দেশে iPad এবং Airpod-এর অ্যাসেম্বলিংয়ের পরিকল্পনাও শুরু করেছে। মূলত, Apple-এর জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। আমাদের দেশে ওই সংস্থার ডিভাইসগুলির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিক্রিও।
এমতাবস্থায়, ভারতে iPhone-এর উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও নিয়েছে সংস্থাটি। Apple প্রায় তিন বছর আগে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজারে (ভারত) তাদের প্রথম অনলাইন স্টোর চালু করেছিল। এদিকে, ফেব্রুয়ারিতে, Apple, Xiaomi-কে টপকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এশিয়া স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর দু’টি বড় স্মার্টফোন বাজার (ভারত এবং চিন) রয়েছে।