বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক নয়া ইতিহাস তৈরি করে নজির গড়ল Apple। জানা গিয়েছে, Apple হল প্রথম কোম্পানি যারা ভারত থেকে এক মাসে এক বিলিয়ন ডলারের স্মার্টফোন রফতানি করার রেকর্ড তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, এই পরিসংখ্যান “মেক ইন ইন্ডিয়া” কর্মসূচিকেও সাফল্য এনে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক কোম্পানি কুপারটিনো ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৮,১০০ কোটি টাকার iPhone রফতানি করেছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখিযে, Apple এবং Samsung হল ভারত থেকে মোবাইল ফোন রফতানিতে শীর্ষস্থানীয় সংস্থা। তবে সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার Samsung-কে টপকে দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন রফতানিকারক হয়ে উঠেছে Apple।
মূলত, iPhone প্রস্তুতকারী Apple তার তিনটি চুক্তিভিত্তিক নির্মাতাদের মাধ্যমে ভারত থেকে iPhone ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৪+ সহ বেশ কয়েকটি iPhone মডেলের উৎপাদন এবং রফতানি করছে। সেই তিনটি নির্মাতা হল ফক্সকন হোন হাই (Foxconn Hon Hair), পেগাট্রন (Pegatron) এবং উইস্ট্রন (Wistron)। এই নির্মাতাদের প্ল্যান্ট তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে অবস্থিত। পাশাপাশি, এগুলি ভারত সরকারের স্মার্টফোন প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ (PLI) স্কিমেও অংশ নিয়েছে। যা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে চালু হয়েছিল।
এদিকে, PLI প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারতকে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, উৎপাদনকারীদের নিয়মিত ভিত্তিতে উৎপাদন, রফতানি, বিনিয়োগ এবং চাকরির তথ্য সরকারের কাছে জমা দিতে হয়। এদিকে, এই প্রধান তিনটি চুক্তিভিত্তিক নির্মাতা ছাড়াও দেশের কিছু ছোট ছোট কোম্পানিগুলিও iPhone রফতানি করছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মোবাইল ফোন রফতানি করতে পারে। যা ২০২২ অর্থবর্ষে ছিল ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে মাত্র এক মাসের মধ্যেও iPhone-এর ১ বিলিয়ন ডলারের রফতানির বেঞ্চমার্ক PLI স্কিমের গ্রহণযোগ্যতাকে আরও স্পষ্ট করেছে। পাশাপাশি, এই স্কিম স্মার্টফোন ছাড়াও ১৩ টি সেক্টরে প্রসারিত হয়েছে। এদিকে, Samsung-এর ইউনিটটি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে কাজ করলে মোবাইল ফোন রফতানি আরও বেশি হতে পারত। মূলত, দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানির উৎপাদন ইউনিট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০-১৫ দিনের জন্য বন্ধ ছিল। যার ফলে উৎপাদন এবং রফতানি উভয়ই হ্রাস পায়।
তবে, শুধু স্মার্টফোন রফতানিতেই নয়, পাশাপাশি ২০২২-২০২৩-এর অর্থবর্ষে ইলেকট্রনিক্স রফতানিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সামগ্রিক রফতানি ১৬.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১.৫৬% বেশি। এছাড়াও, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের স্মার্টফোন রফতানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা