বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শুল্ক নীতিতে চোখে ‘সর্ষেফুল’ দেখার অবস্থা গোটা বিশ্বের। এই আবহে নয়া শুল্ক নীতি লাগু হওয়ার আগেই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আইফোন আমেরিকায় নিয়ে গেল অ্যাপেল। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শুল্ক নীতি অনুযায়ী, গত ৫ই এপ্রিল থেকে ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর করেছে আমেরিকা। আমদানি শুল্ক ‘এড়াতে’ সম্প্রতি ৫ টি বিমানে করে ভারতের কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ আইফোন ও অন্যান্য গেজেটস আমেরিকায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে অ্যাপেল।
বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল Apple
একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহের মাত্র তিন দিনে ভারত (India) থেকে আমেরিকা উড়ে গিয়েছে ৫ বিমান বোঝাই অ্যাপেল আইফোন ও অন্যান্য গেজেটস। ভারতের পাশাপাশি চিনের কারখানাগুলি থেকেও বিপুল পরিমাণ পণ্য আমেরিকায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে সংস্থা। এক ঊর্ধ্বতন কর্তার মতে, মার্কিন প্রশাসন ১০ শতাংশ হারে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে ৫ই এপ্রিল থেকে। শুল্ক নীতির জেরে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলার লক্ষ্যে তড়িঘড়ি ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট থেকে আমেরিকায় পণ্য নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে অ্যাপেল।
আরও পড়ুন : SSC ইস্যু: বিচারব্যবস্থা নিয়ে মমতার মন্তব্যের জন্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হোক! প্রধান বিচারপতির কাছে গেল চিঠি
সূত্রের খবর, বছরের এই সময়টাতে পণ্য শিপিং অনেকটাই ধীর হয়ে থাকে অ্যাপেলের (Apple)। তবে নয়া আর্থিক বছর শুরুর আগেই এই বিপুল পরিমাণ পণ্য পরিবহন কেন, তা স্পষ্ট ইতিমধ্যেই। জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রশাসন আমদানিকৃত পণ্যের উপর বিপুল পরিমাণ পারস্পারিক শুল্ক আরোপ করলেও, আমেরিকার (USA) আইফোন (iPhone) ক্রেতাদের উপর তার প্রভাব আপাতত পড়ছে না। এমনকি ভারত বা চিনের বাজারেও আপাতত দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই আইফোনের।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই ঝড়-বৃষ্টি! জেলায় জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা: আবহাওয়ার আগাম আপডেট
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পরই আমেরিকান পণ্যের উপর ভারতসহ একাধিক দেশের মাত্রাতিরিক্ত আমদানি শুল্ক নিয়ে সরব হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত, চিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক আমদানি শুল্ক নীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই মোতাবেক গত ২ এপ্রিল থেকেই বিদেশি পণ্যের উপর বিপুল পরিমাণ আমদানি শুল্ক লাগু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখার সময়ে আমদানি শুল্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং কানাডা অসংখ্য দেশ আমাদের উপর আমাদের চেয়েও বেশি শুল্ক আরোপ করে। যা খুবই অন্যায্য। ট্রাম্প প্রশাসনের জমানায় আমেরিকায় পণ্য তৈরি না করলে শুল্ক গুনতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি। দশক ধরে বিভিন্ন দেশ আমাদের উপর শুল্ক চাপিয়ে রেখেছিল। এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক অস্ত্র প্রয়োগ করার।”