বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যেকোনো দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে তা সমগ্র দেশ এবং দেশবাসীকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে সক্ষম। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা (Sri lanka) দেশটি এই পরিস্থিতির শিকার। অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় বর্তমানে দেশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে প্রতিবাদে নেমেছে দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরেও ফুঁসছে শ্রীলঙ্কা। তবে শুধু সেই দেশ-ই নয়, বর্তমানে আরো বেশ কয়েকটি দেশের নাম সামনে উঠে এসেছে, যেগুলি শ্রীলঙ্কার ন্যায় খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে যদি এ সকল দেশেও পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে ওঠে, তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি, একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে, যেখানে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া প্রায় ১২ টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে ঋণের বোঝা চরমে পৌঁছেছে। এগুলির মধ্যে পাকিস্তান, ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা এবং মিশরের নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পাকিস্তান এবং ইউক্রেনের মতো দেশগুলিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে এই তালিকায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া, ইকুয়েডর ও নাইজেরিয়ার মত দেশগুলির নাম উঠে আসায় হতবাক সকলে।
এক্ষেত্রে প্রথমেই যে দেশটির নাম বলতে হয়, তা হল পাকিস্তান। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশের হাল শোচনীয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক এবং অন্যান্য একাধিক সংকটে ভুগে চলেছে দেশবাসী। এর মাঝেই পাকিস্তানি মুদ্রার পতন এবং তেল আমদানির বোঝা দেশের পরিস্থিতিকে সংকটময় করে তুলেছে। এমনকি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বড়জোর আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত তেলের আমদানি চালাতে পারবে সরকার। এক্ষেত্রে চীনের থেকে ঋণের বোঝা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এর পাশাপাশি রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের পরিস্থিতিও তথৈবচ। ফলে মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বের একাধিক দেশ বর্তমানে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে তারা এর সমাধান সূত্র বার করে, সেটাই দেখার।