বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পরাজিত করে নন্দীগ্রামে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই নন্দীগ্রামেই (Nandigram) এবার বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। বছর শেষের আগেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহলে।
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামে জোর ঝটকা খেল বিজেপি!
নন্দীগ্রামের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খোদ তাঁর ‘গড়েই’ এবার প্রায় ৫০ জন বিজেপি নেতা কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গেরুয়া শিবির ছাড়লেন। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস, গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের পদ্ম নেতা অশোক করন সহ প্রায় ৫ জন পদ্ম নেতা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এদিন দল ছাড়েন।
বিজেপি (BJP) ছাড়ার পরেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দলত্যাগীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে নন্দীগ্রামে যেভাবে বিজেপি চলছে, সেটায় তাঁরা অসন্তুষ্ট। সাম্প্রতিক অতীতে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। এর ফলে সেখানে এক সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নন্দীগ্রামের যা অবস্থা, সেটার বদল চেয়েছেন দলত্যাগীরা।
আরও পড়ুনঃ ‘সন্দেশখালিতে কোনও আইন চলবে না’, শাহজাহান অতীত! এবার তাঁর কাকার বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ
এই প্রসঙ্গে সদ্য বিজেপি ত্যাগী অশোক করন বলেন, ‘মানুষের দরকারে পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজনীতি করি। কোনও অস্থিরতা তৈরি করার জন্য রাজনীতি করি না। বর্তমানে নন্দীগ্রামে যা অবস্থা সেটার বদল চাই। এখানে বিজেপির নেতারা যা করছেন, সেটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়’।
নন্দীগ্রামে দলত্যাগী বিজেপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, শুভেন্দু-গড়ে (Suvendu Adhikari) যে সকল গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সেখানেও দুর্নীতি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে একাধিকবার সবটা বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন আসেনি। সেই জন্য বহুদিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সব মিলিয়ে, শেষ অবধি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিক্ষুব্ধরা।