দেশের পূর্ব রাষ্ট্রপতি APJ আব্দুল কালামকে মিসাইল ম্যান বলা হয়। কালাম স্যার ভাগবত গীতা পড়তেন যা কাশ্মীরের কট্টরপন্থীরা মেনে নিতে পারতো না। এমনকি রামায়ণ ও মহাভারতের প্রতি উনার আগ্রহ ছিল প্রচন্ড। এই কারণে তারা কালাম স্যারকে কাফের ইত্যাদি বলে অপমান করার চেষ্টা করতো। তবে যাইহোক প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে APJ আব্দুল কালাম এক বিদ্বান মহাপুরুষ যিনি ভারতকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ইসরো কর্তৃপক্ষকে লঞ্চ ভিকেল প্রোগ্রাম প্রদান করে গেছেন। ডক্টর কালাম স্বদেশী লক্ষভেদী তথা গাইডেড মিসাইলের ডিজাইন করেছিলেন। ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কালাম মহাশয়কে DRDL এর নির্দেশক করা হয়েছিল।
ডঃ ভিএস অরুণাচালামের সাথে মিলিত হয়ে গাইডড মিসাইল উন্নয়ন কর্মসূচির প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন APJ আব্দুল কালাম। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ব্রহ্মমস, পৃথ্বী, অগ্নি, ত্রিশুল, আকাশ ও নাগ সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্রহ্মমোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যা সাবমেরিন, জলের জাহাজ, বিমান বা ভূমি থেকে ছাড়া যেতে পারে। ব্রহ্মমোস বায়ুপথে নিজের দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম। কালাম সেই বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ভগবান রামের অস্থিতকে প্রমাণ করে বহু স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীদের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
কালাম স্যার, ইংরেজি বা অন্য বিদেশী ভাষার থেকে ভারতীয় ভাষাগুলিকে বেশি সন্মান করতেন। উনি বলতেন আমি আজ বিজ্ঞানী হওয়ার পেছনে একটা বড়ো কারণ আমি অনেক সময় পর্যন্ত মাতৃ ভাষায় বিজ্ঞান পড়তে পেরেছি। কালামের তৈরি পৃথ্বী মিসাইল পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই ৫ থেকে ৬ ধরনের মিসাইল ভারতকে সামরিক দিক থেকে এতটাই শক্তিশালী করে দিয়েছে যে শত্রু দেশগুলি ভারতের উপর বায়ু হামলা করার আগে হাজার বার চিন্তন করবে।