বাংলা হান্ট ডেস্ক : একেই বলে বন্ধুত্ব! ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে (TMC leader) বাঁচাতে ভাঙড় থানায় (Bhangor police station) পৌঁছে গেলেন আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ (Arabul-Kaiser)। থানায় গিয়ে বড়বাবুর সঙ্গে কথাও বললেন তাঁরা।
এই ঘটনায় পুলিসের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কারও জন্য সুপারিশ করতে যাইনি, শুধু ন্যায় বিচারের জন্য পুলিসকে বলেছি।’
রবিবার এলাকার তৃণমূল নেতা দীননাথ নস্করের বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। মগরাহাটের বাসিন্দা ওই বধূর অভিযোগ জানান, ভাঙড়ের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ী দীননাথ নস্কর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে। শুধু তাই নয়, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের বিশেষ ঘনিষ্ঠ।
এই ঘটনার পরে এদিন ভাঙড় থানায় আসেন আরাবুল ও কাইজার জুটি। তারা অনেক্ষণ কথা বলেন থানার বড়বাবুর সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের কাইজার বলেন, ‘দীননাথকে ফাঁসিয়েছে দলেরই অপর গোষ্ঠী। এখানে এক তোলাবাজ নেতা আছেন যিনি দলের নাম করে তোলাবাজি করছেন এবং দলের অপরগোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করছেন।’ পুলিসের সঙ্গে যোগসাজশ করেই ওই নেতা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে বলে দাবি করেন কাইজার।
এলাকার তৃণমূল যুব সভাপতি আহসান মোল্লা অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, ‘যারা এই সমস্ত অভিযোগ তুলছে তাদের গোটা ভাঙড়ের মানুষ তোলাবাজ হিসেবেই চেনে। দলের জামা গায়ে দিয়ে তারা তোলাবাজি করে বেড়াচ্ছে। একজন মহিলা যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে, তাকে তাঁরা বাঁচাতে গেছে। কাজেই মানুষ সব বুঝতে পারছে।’