বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক-দু’মাস নয়, টানা ৫ মাস জেলের চার দেওয়ার মধ্যে কাটিয়েছেন আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। ভাঙরের এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে সদ্য জামিন দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার দুপুর ২:৩০ নাগাদ বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়েই ‘হুঙ্কার’ দিলেন তিনি। ভাঙর (Bhangar) তাঁর থেকে কেউ কাড়তে পারবে না, স্পষ্ট জানালেন ‘তাজা নেতা’।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আরাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুন সহ ৯টি মামলা দায়ের হয়েছিল। TMC-র এই দাপুটে নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার নিজেদের হেফাজতেও নিয়েছিল পুলিশ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে সোজা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। মঙ্গলবার অবশেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
এদিন জেল থেকে মুক্তি পান আরাবুল (Arabul Islam)। সংশোধনাগারের বাইরে তখন ভিড় করেছেন ‘তাজা নেতা’র অনুগামীরা। তিনি বেরোতেই গলায় পরানো হয় ফুলের মালা। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে আরাবুল বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচন যা ফলাফল হয়েছ, তাতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন ফের বাংলায় TMC-র আসা নিশ্চিত’।
আরও পড়ুনঃ একুশের জুলাইয়ের পরেই ঘুরে যাবে ‘খেলা’, এবার রদবদলের পথে মমতা! ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
এদিন সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে অনুরাগীদের ভিড় দেখে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ভাঙরের এই দাপুটে নেতা। গলা ধরে এলেও নিজেও সামলে নিয়ে বলেন, ‘আমি অসুস্থ। শরীর ভালো হলে ভাঙরের সংবাদমাধ্যমকে ডেকে সব কথা বলব’। এরপরেই বলে ওঠেন, ‘ভাঙর কেউ কাড়তে পারে না। প্রশাসনে বহু ব্যাপার রয়েছে। কেউ কাউকে সরাতে পারে না। আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সদস্যরা আমায় ভোট দিয়েছেন। আমি এক সপ্তাহ পর সব বিষয়ে কথা বলব’।
উল্লেখ্য, আরাবুল জেলবন্দি থাকাকালীন ভাঙর-২ ব্লক তৃণমূল আহ্বায়কের পদ থেকে সরানো হয় তাঁকে। লোকসভা ভোটে শওকতের নেতৃত্বে ভাঙরে ভালো রেজাল্ট করেছে TMC। এরপর ৯ জুন ভাঙর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকরী সভাপতির পদে আসীন করা হয়।
একদিকে বুধবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আরাবুল, অন্যদিকে এদিনই দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির যে ঘরে তিনি বসতেন, সেখান থেকে নামের ফলক খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এদিন ‘তাজা নেতা’র কথাতেই স্পষ্ট, পঞ্চায়েত সমিতির পদ কেড়ে নিলেও ভাঙর তাঁর থেকে কেউ কাড়তে পারবে না!