বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের পর এবার মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশ, দ্রুত ভূখণ্ডের দখল নিচ্ছে মায়ানমারের বিদ্রোহীরা। চলতি মাসেই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাই প্রদেশ দখল করেছিল আরাকান আর্মির (Arakan Army) নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট। এবার চিন প্রদেশও গেল তাদের দখলে। এদিকে এই অঞ্চলেই মায়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর বাস। ফলত সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা আবারো বাড়ল নতুন করে।
মণিপুর সীমান্তে চিন প্রদেশের দখল মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর (Arakan Army)
মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, চিন প্রদেশের ৮৫ শতাংশই চলে গিয়েছে বিদ্রোহী জোটের (Arakan Army) দখলে। বাংলাদেশের রাখাইন প্রদেশের আগে সামরিক জুন্টা সরকার বাহিনীকে সরিয়ে বিদ্রোহী জোট দখল নিয়েছিল চিন এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ। এবার এই তালিকায় জুড়ল চিন প্রদেশ।
দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিন দলের: সংবাদ মাধ্যমের তরফে আরো জানানো হয়েছে, মণিপুর সীমান্তের চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে জুন্টা সরকার বিরোধী নয়া জোট চিন ব্রাদারহুড এর শরিক ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ইয়াও আর্মি এবং মণিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
আরো পড়ুন : দিলজিৎ তো কোন ছাড়, নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন অরিজিৎ, সব সীমা ছাড়াল মুম্বই শোয়ের টিকিট মূল্য
জুন্টার বিরুদ্ধে বাড়ছে শক্তি: উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সরকারকে হটিয়ে দিয়েছিল মায়ানমার সেনার অভ্যুত্থান। আবার ২০২৩ সালে মায়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (Arakan Army), তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি জোট বেঁধে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠন করে সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে শুরু করে অপারেশন ১০১৭। পরবর্তীতে জুন্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয় চিন ন্যাশনাল আর্মি এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স, কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট এর পিপলস ডিফেন্স ফোর্স।
আরো পড়ুন : ভারতীয় কারখানায় তৈরি ওষুধে আপত্তি! আচমকাই আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা
জুন্টা সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি এবং তার শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন জানায় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট। উল্লেখ্য, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মদতে দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি ইতি মধ্যেই কিছু মুক্ত অঞ্চলে সমান্তরাল সরকার চালানো শুরু করেছে। নতুন জোট চিন ব্রাদারহুডও শুরু হয়েছে চলতি বছরেই। এমতাবস্থায় জুন্টা বাহিনীর সামনে যে বড় বিপদ আসতে চলেছে তা বলা বাহুল্য।