বাংলাহান্ট ডেস্ক: বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। ঘোষণা করেছেন, সস্তা হতে চলেছে ইলেকট্রিক গাড়ি, মোবাইল ফোন ও এলইডি টিভির মতো জিনিস। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, সত্যিই কি সস্তা হতে চলেছে এই জিনিসগুলি? যদি সস্তা হয়েও, কতটা সস্তা হবে এই জিনিসগুলি? এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে জানাব বিস্তারিত।
মোবাইল ফোনে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি (Lithium ion battery) ব্যবহৃত হয়। এই বাজেটে এই ব্যাটারির উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ইলেকট্রিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারির উপরেও শুল্ক (Customs duty) ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা সামগ্রী। ফলে স্বভাবতই এই দু’টি জিনিসের মধ্যে দামের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। মোবাইলের ব্যাটারি কয়েক শ’টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা অবধি হতে পারে। কিন্তু ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির দাম কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে।
এছাড়াও এই দু’টি জিনিসে জারি করা আমদানি শুল্কও সমান নয়। মোবাইলের ব্যাটারিতে আমদানি শুল্ক চাপে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ইলেকট্রিক গাড়ির (EV) ব্যাটারিতে আমদানি শুল্ক হয় ১৫ শতাংশ। এর ফলে সাধারণ মানুষের দারুণ সুবিধা হতে চলেছে। ধরা যাক, একটি মোবাইল ফোনের দাম ৫০ হাজার টাকা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই ফোনটি এ বার থেকে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে। মোবাইলের ক্ষেত্রে এটি অল্প মনে হতে পারে।
কিন্তু বড় গাড়ি বা স্কুটারের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের ফলে অনেকটাই লাভ হবে। অনেকটাই কমে যাবে এগুলির দাম। একটি এক লক্ষ টাকার স্কুটার পাওয়া যাবে মাত্র ৮৫ হাজার টাকায়। কিন্তু সত্যিই কি এমন হতে চলেছে? S&P Global, Mobility-এর ডিরেক্টর সূর্য ঘোষ (Suraj Ghosh) বলেন, “যেমনটা আমাদের মনে হচ্ছে, তেমনটা নয়। সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক গাড়ির দামে কোনও পরিবর্তন দেখা যাবে না। কারণ সরকার সরাসরি ব্যাটারির দামে কোনও ছাড় দেয়নি। কারখানার উপর ছাড় দিয়েছে।”
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি দেশেই ব্যাটারি তৈরি করলে তাদের আমদানি করা মেশিনের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ বার দেশের ভিতরেই ব্যাটারি তৈরি হলে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনই এমন হবে না। আগামী ২ থেকে ৩ বছর পর ইলেকট্রিক গাড়ির দাম কমে আসতে পারে। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি করা ব্যাটারির উপর কোনও ছাড় দিচ্ছে না কেন্দ্র।