বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই শিয়ালদহ স্টেশনে আর্জেন্টিনা লোকাল? ভাইরাল ট্রেনের ছবিকে ঘিরে সরগরম নেটপাড়া

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবল (Football World Cup) নিয়ে সারা বিশ্বজুড়েই তুমুল আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রই রীতিমতো মেতে ওঠে ফুটবলের এই উৎসবে। এমতাবস্থায়, শহর কলকাতাতেও বিশ্বকাপের কয়েকমাস আগে থেকেই প্রিয় দলকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েন সবাই। এদিকে, ইতিমধ্যেই চলতি বিশ্বকাপের একদম শেষ লগ্নে এসে উপস্থিত হয়েছি আমরা।

এমতাবস্থায়, ব্রাজিল-পর্তুগাল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও আর্জেন্টিনা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেটি ঘিরে মেসি ভক্তদের আনন্দের সীমা নেই। এমনকি, নেটমাধ্যমও রীতিমতো তোলপাড় এই আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে চলেছে ফ্রান্স। ইতিমধ্যেই এই উত্তেজক ম্যাচ নিয়ে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।

এদিকে, ঠিক সেই আবহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি ট্রেনের ছবি। মূলত, ট্রেনটির বিশেষ নীল-সাদা রংয়ের জন্যই সেটি সবাইকে আকৃষ্ট করেছে। কারণ আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার রংও নীল-সাদাই। পাশাপাশি, উঠতে শুরু করেছে প্রশ্নও। এমনকি, কিছু কিছু নেটিজেন জানতে চেয়েছেন তাহলে কি এবার ভারতীয় রেলও সরাসরি আর্জেন্টিনার পক্ষ নিয়েছে?

মূলত, ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটিতে দেখা গিয়েছে যে, আমাদেরই রাজ্যের শিয়ালদহ স্টেশনে রয়েছে একটি নীল-সাদা রঙের ট্রেন। এমতাবস্থায়, আর্জেন্টিনার ভক্তরা এই ছবিটিকে প্রচারের মাধ্যম করে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তারা ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছে, “ভারতীয় রেল পরিচালিত শিয়ালদহ টু আর্জেন্টিনা লোকাল।”

whatsapp image 2022 12 18 at 5.56.08 pm

যদিও জানিয়ে রাখি যে, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কোনো স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে না রেলের তরফে। বরং এই ট্রেনের নাম হল “চেতনা”। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই ট্রেন চললেও এখন তা আর চলেনা বললেই চলে। এই ট্রেন চালানোর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল টিকিটবিহীন যাত্রীদের পাকড়াও করা। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের ট্রেনে সফরের ক্ষেত্রে সঠিক টিকিট কাটার প্রসঙ্গে উৎসাহী করতে এবং সেইসাথে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় এই বিশেষ ট্রেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর