কনকনে ঠাণ্ডাতেও বাবার সঙ্গে নিয়মিত গঙ্গাস্নান, অরিজিতের ছোটবেলার গল্প বললেন সুরিন্দর সিং

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ভারতীয় সঙ্গীত জগতে রাজত্ব করছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। ‘স্যাড সং’ এর রাজা নিজের সুরের খেলায় ছুঁয়ে যান মনের হরেক অনুভূতিকে। বর্তমান প্রজন্মের সবথেকে জনপ্রিয় পুরুষ গায়কদের মধ্যে অরিজিতের স্থান নিঃসন্দেহে সবার উপরেই থাকবে। তবে তাঁর পেশাগত জীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিন্তু তেমন আলোচনা হয় না। কারণ ব্যক্তিগত জীবন বরাবর আড়ালেই রেখে এসেছেন অরিজিৎ।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম অরিজিতের। বাবা সুরিন্দর সিং বাগ্গা পঞ্জাবি হলেও মা স্বর্গীয় অদিতি ছিলেন বাঙালি। তাঁদের ছেলে অরিজিৎ। ছোটবেলাটা জিয়াগঞ্জেই কেটেছে তাঁর। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে গানের রিয়েলিটি শোতে যোগ দেন অরিজিৎ। সেখানে অবশ্য বিজেতার সিংহাসন হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। কিন্তু এখন বিজয়ীর থেকেও বহুগুণ বেশি জনপ্রিয় অরিজিৎ।

Arijit singh concert

সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পীর ছোটবেলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কলম ধরেন তাঁর বাবা সুরিন্দর সিং বাগ্গা। সেখানেই ষাট পেরোনো মানুষটি জানান, বয়স বাড়ায় এখন শীতে কাবু হয়ে পড়লেও ছোটবেলায় শীতকালে খালি গায়েই খেলে বেড়াতেন। বাবার মতো সোমু অর্থাৎ অরিজিৎও শীতকাতুরে নন একেবারেই। বরং ছোটবেলায় নাকি সারা বছর বাড়ির পাশে গঙ্গায় স্নান করতে যেতেন বাবার সঙ্গে।

একটু বড় হতে একা একাই গঙ্গায় স্নান করতে চলে যেতেন অরিজিৎ। বন্ধুদের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা সাঁতার কেটে স্নান করতেন। মাঝেমধ্যে ঠাণ্ডা লাগালে মায়ের কাছে বকাঝকাও খেতেন। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে গায়কের বাবা এও জানান, স্ত্রী বাঙালি হওয়ার সুবাদে শীতের পিঠে পুলির স্বাদও ভরপুর পেতেন বাবা ছেলে। সঙ্গে এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়া তো ছিলই। সব মিলিয়ে ছোটবেলাটা মন্দ কাটেনি অরিজিতের।

প্রসঙ্গত, দু বছর আগে মাকে হারিয়েছেন অরিজিৎ। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অদিতি সিং। হাসপাতালে যমে মানুষে লড়াইয়ের পর হার মানেন তিনি। মাত্র ৫২ বছর বয়সে সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে চিরঘুমে চলে যান অরিজিতের মা।

তারপরেই জিয়াগঞ্জের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য এগিয়ে আসেন অরিজিৎ। মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ‍্য দফতরকে পাঁচটি হাই ফ্লো ন‍্যাজাল অক্সিজেন থেরাপি মেশিন দান করেন গায়ক। জিয়াগঞ্জের ধৃতী ফাউন্ডেশনের মাধ‍্যমে জেলার মুখ‍্য স্বাস্থ‍্য আধিকারিক চিকিৎসক প্রশান্ত বিশ্বাসের হাতে এই মেশিনগুলি তুলে দেন অরিজিৎ।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর