বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকে যদি রোম্যান্টিক গানের বাদশা হন তবে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) নিঃসন্দেহে তাঁর যোগ্য শিষ্য। মনের মানুষের স্মৃতিতে হোক বা সদ্য সদ্য প্রেম ভাঙার যন্ত্রণা, মলম লাগানোর জন্য অরিজিতের গানের উপরেই ভরসা করে তরুণ প্রজন্ম। যে মানুষটা একটা গোটা প্রজন্মের ‘লভ গুরু’ স্বরূপ, তাঁর নিজের প্রেম জীবন কেমন?
বাংলার ছেলে অরিজিৎ। তাঁর কণ্ঠ কথা বললেও এমনিতে বেশ লাজুক মানুষ তিনি। প্রেম কি এসেছিল অরিজিতের জীবনে? সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের উপর থেকে পর্দা ওঠালেন গায়ক। জানালেন নিজের প্রথম ‘ক্রাশ’ এর কথা।
অনেকেই আছেন যারা স্কুল জীবনে নিজের শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে মন দিয়ে ফেলেছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো কেটেও গিয়েছে সেই ভাললাগা। অরিজিৎও ব্যতিক্রম নন। তাঁর জীবনে যখন প্রেম এসেছিল তখন তিনি মোটে দশ বছরের এক বালক! নিজের থেকে বয়সে অনেকটাই বড় এক শিক্ষিকাকে দেখে হৃদয়ে দোলা দিয়েছিল অরিজিতের।
ওই বয়সেও গানের মাধ্যমেই মনের ভাব প্রকাশ করেছিলেন অরিজিৎ। তিনি বলেন, একটা গান তখন খুব গাইতেন। সুরকার শ্যামল মিত্রের ছেলে সৈকত মিত্রের গাওয়া ‘ভুল ভেঙে যাবে যে দিন, তুমি আমারই হবে, তুমি আমারই হবে সে দিন।’
পরীক্ষার সময়ে গেয়েছিলেন তিনি গানটি। অরিজিৎ জানান, তাঁর সেই শিক্ষিকার নাম ছিল সুনীতা লাহিড়ী। বড় হয়ে তাঁকে বলেও ছিলেন, তিনিই চিরদিন তাঁর প্রথম ক্রাশ হয়ে থাকবেন। কী উত্তর দিয়েছিলেন শিক্ষিকা? সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
প্রথমে ‘ফেম গুরুকুল’ নামে একটি রিয়েলিটি শো তে অংশগ্রহণ করেন অরিজিৎ। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি তিনি। বরং ষষ্ঠ স্থান পেয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। কিন্তু এই হারটাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে রাজি ছিলেন না তিনি। বরং এই না পারা থেকেই শিক্ষা নিয়ে নিজেকে মাজাঘষার কাজে নামেন অরিজিৎ।
সেখান থেকে এখন বলিউডের প্রথম সারির গায়কদের মধ্যে একজন অরিজিৎ। অসাধারন গানের গলার জাদুতে কোটি কোটি মানুষকে নিজের ‘দিওয়ানা’ করে দিয়েছেন তিনি। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্ত।