বাংলাহান্ট ডেস্ক: অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে উঠে আসা বাঙালি ছেলেটির হাতের মুঠোয় আজ গোটা দেশের সঙ্গীত জগৎ। প্রাথমিক ধাপে হোঁচট খেলেও পরবর্তীকালে তাঁর মাথাতেই উঠেছে সেরার শিরোপা। আজ আসমুদ্রহিমাচল অরিজিতের কণ্ঠের জাদুতে বিভোর। তাঁর অসংখ্য অন্যতম বাংলার আরেক গৌরব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)।
অরিজিতের গানের ভক্ত ‘মহারাজ’। তাঁর নাম নাকি প্রায়ই গুগলে সার্চ করেন গান শোনার জন্য। অন্যদিকে সৌরভ ‘দাদাগিরি’র ভক্ত অরিজিৎও। দুই কিংবদন্তি সম্প্রতি ধরা দিয়েছিলেন এক ফ্রেমে। জানা যাচ্ছে, গত ৩১ অক্টোবর সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। আলাপচারিতার ফাঁকে নৈশভোজও সারেন তিনি সৌরভের বাড়িতেই। এদিন নাকি দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও অরিজিতের আলাপ করিয়ে দেন সৌরভ।
জানা যায়, অরিজিৎ এবং সৌরভ দুজনেই পূর্ব পরিচিত। একবার ‘দাদাগিরি’ শোতেও খেলে গিয়েছেন গায়ক। শোয়ের থিম সংটিও গেয়েছেন অরিজিৎই। দাদাগিরিতে এসেও প্রিয় ‘দাদা’র অনুরোধে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মুম্বইতে বাসস্থান হলেও মাঝেমধ্যেই নিজের জন্মস্থান মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে এসে ঘুরে যান অরিজিৎ। মাস কয়েক আগেই জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জের একটি নার্সিং কলেজের হোস্টেলে ঘর দেখতে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। কলেজে পা রাখা মাত্রই হই হট্টগোলের পরিস্থিতি।
তরুণ প্রজন্মের ক্রাশ অরিজিৎকে চোখের সামনে দেখে আত্মহারা পড়ুয়ারা। ভিড় জমে যায় গায়কের চারিদিকে। সেলফি তোলার আবদার আসতে থাকে অসংখ্য। এমনকি কেউ কেউ অরিজিৎ যাতে ফিরতি পথ না ধরতে পারেন সেজন্য জামাও আঁকড়ে ধরেন।
সবার সঙ্গেই সেলফি তোলেন অরিজিৎ। তারপরেই এক সবেধন নীলমণি স্কুটিতে চেপে কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচেন ভক্তদের ভালবাসার অত্যাচার থেকে। অরিজিতের এমন মাটির কাছাকাছি থাকার মানসিকতার জন্যই তিনি সবার এত প্রিয়।