বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই টলিউড থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ও দলবদলের হিড়িক উঠেছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে (bjp) যোগদান করে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh) মন্তব্য করেছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীলও (arindam sil) যোগ দেবেন বিজেপিতে (bjp)। সেই সময় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। এবার বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার (shanku deb panda) সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন তিনি।
অরিন্দম শীলের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিলেন অরিন্দম। টুইটারে অরিন্দমের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে বিজেপি নেতা লেখেন, ‘আজ বিকেলে অরিন্দম দার সাথে সঙ্গে চায়ে পে চর্চা।’ পাশাপাশি তিনি এও লেখেন ‘সোনার বাংলা’ নিয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা।
এর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পরেই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন রুদ্রনীল ঘোষ। ডুমুরজলায় বিজেপির মেগা যোগদান মেলায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আজই অরিন্দম শীলও যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই রুদ্রনীলের সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে উত্তর দিয়েছেন পরিচালক।
আজ বিকেলে অরিন্দম দার সঙ্গে চায়ে পে চর্চা। আলোচনা হল সোনার বাংলা নিয়েও।@BJP4Bengal @BJYMinWB pic.twitter.com/IaZDdyL9kG
— Shanku Deb Panda (@shankudebbjp) February 22, 2021
রুদ্রনীল বলেন, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অরিন্দম শীল। তাঁর সঙ্গে নাকি তেমনি কথা হয়েছে রুদ্রনীলের। অভিনেতার বক্তব্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালকে অরিন্দম জানান, রুদ্রনীলের সঙ্গে নাকি তাঁর যোগাযোগই নেই দীর্ঘদিন। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেরও অনেক আগে নাকি মেসেজে কথা হয় দুজনের। তাহলে কোন ‘কথা হওয়া’র ব্যাপারে বলছেন রুদ্রনীল?
পরিচালকের আরো প্রশ্ন, “বিজেপির মুখপাত্র কবে থেকে হয়ে গেলেন রুদ্রনীল?” তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি অরিন্দম। তাঁর বক্তব্য, “জীবনে প্রথম সারিতেই থেকেছি বরাবর। ভুঁইফোঁড়দের পিছুপিছু চললাম আর ঢুকে পড়লাম এমনটা হবে না।”
সভায় রুদ্রনীলের বক্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠতে পালটা টুইট করেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তিনি লেখেন, ‘আমি শুধু সিনেমাই বুঝি। সেটাই আমি করি ও সেটাই আমি সবথেকে ভাল বুঝি। গুজবের দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও সমাজে পরিবর্তন আনা যায় (বিশেষ করে আজকের রাজনীতিতে)। এছাড়াও আরো অনেক কিছু করার আছে।’
এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, অনেকদিন ধরেই মানুষের সেবা করে আসছেন তিনি। তার জন্য আলাদা করে রাজনীতির মঞ্চে ওঠার দরকার নেই। বিশেষ করে বর্তমান ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা তাতে তো এর সঙ্গে যুক্ত না হওয়াই ভাল।