বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘প্রজাপতি’ (Projapoti) বিতর্ক স্তিমিত হওয়ার জো নেই। রাজনৈতিক জগতের পাশাপাশি চলচ্চিত্র জগতের সদস্যরাও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করছেন এ ব্যাপারে। বিরোধীদের অভিযোগ ছাপিয়ে এখন রাজ্যের শাসক দলের নেতানেত্রীরাই কার্যত নিজেদের মধ্যে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। দেব (Dev) এবং কুণাল ঘোষের তর্কবিতর্কের মাঝে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) পাশেই দাঁড়িয়েছেন সায়নী ঘোষও।
তবে বিতর্কে না জড়িয়ে ইন্ডাস্ট্রির সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের একটি পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)। তাঁর স্পষ্ট কথা, রাজনীতির চাকরি ছেড়ে বরং সিনেমায় ফিরুন সকলে। সেটাই ভাল হবে বলে মত অরিত্রর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘কুনাল ঘোষ বা মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন কোনো রাজনীতিবিদের বুকের পাটা হতোনা সিনেমা বা অভিনেতাদের নিয়ে ফালতু কথা বলার, যদি না বাংলার সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা নিজেদের “অল্টারনেট জব সিকুরিটি” খুঁজতে বোকার মতো রাজনীতির মতো পেশায় এসে নিজের ফ্যানদের কাছে শ্রদ্ধার জায়গাটা নষ্ট না করতেন। আমরা শিল্পীরা নিজেদের দোষে এই অপমানের সুযোগ করে দিয়েছি তাই রাজনৈতিক দলগুলি নিজের ভোটের আবেগ বিক্রি করতে গিয়ে সিনেমার ইমোশনকে বিক্রি করছে।’
এরপরেই তিনি লিখেছেন, ‘এখনো সময় আছে যদি নিজের ক্রাফটের ওপর আর অডিয়েন্সের ওপর কনফিডেন্স থাকে এই মুহুর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মেরুদণ্ড বুঝিয়ে দিয়ে রাজনীতির চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার সিনেমায় স্ক্রিনে ফিরুন। প্রত্যেক পেশার নিজস্ব মডেল আছে রাজনীতির মার্কেটের সাথে সিনেমা বা মিডিয়ার মার্কেট কোনোদিন মিলবেনা যতবার জোর করে মেলাবেন ততবার এই দুর্দিন আসবে। সবাই তার স্পেশালাইজড পেশায় ফিরে যান।’
প্রসঙ্গত, অভিনয় জগতে অরিত্রর প্রথম প্রবেশ মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। পরিচালক যিশু দাশগুপ্তর হাত ধরে শিশুশিল্পী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। এখন বলিউডেও ডেবিউ করে ফেলেছেন তিনি। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের মতামতও শেয়ার করতে থাকেন অরিত্র।