বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের শেষ পর্বের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। এমন আবহে প্রশ্ন হল, দিল্লির মসনদ কার? NDA নাকি INDIA-র হাতে যাবে দিল্লির সিংহাসনের চাবিকাঠি? ইতিমধ্যেই ৪০০-র বেশি আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসনে জেতা বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। এহেন আবহে কী বলছে অরিত্র দত্ত বনিক (Aritra Dutta Banik)?
এইদিন আর প্লাস এবং বাংলাহান্টের যৌথ উদ্যোগে এক রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শহরের জ্ঞানীগুণী সব রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন অরিত্র দত্ত বণিকও। বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিলেন, দিল্লির মসনদে এবার বিজেপিই থাকছে। কিন্তু তা সত্বেও বিরোধী জোটের থাকাও জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
এইদিন নির্বাচন কমিশনের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে অরিত্র বণিক বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ প্রকাশের সময়ই ইলেকশন কমিশন জানিয়েছেন, তারা মূলত চারটি এম এর সাথে লড়াই করছে। চারটি এম এর দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই দুটি হল মানি এবং মাসল। আর এই দুটি কার কাছে আছে তা সকলেই জানেন। এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, আসন্ন নির্বাচনে কার দাপট বজায় থাকবে।’
আরও পড়ুন : IPL-র মাঝেও পর্ণা-ফুলকির ধুন্ধুমার লড়াই, জলসাকে মাত দিতে জি বাংলার বিরাট চাল, TRP তে বড় ধামাকা
এখানেই শেষ নয়, আসন্ন নির্বাচনের হাল হকিকত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অরিত্র বলেন, সম্প্রতি যে জোট তৈরি হয়েছে তাতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। অরিত্রর মতে, একটা জোটে কেউ নিজে ১০০ শতাংশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনা। সকলকে নিয়ে সেই জোট ১০০ শতাংশ হয়। মহাজোটে সকলেই ১০০ শতাংশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চেয়েছিল। তা সত্বেও দেশে রিজিওনাল দলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও জোটের ভাবনা অনেক পরে শুরু হয়েছে বলে অভিমত তার।
আরও পড়ুন : BCCI-র দু চোখের বিষ! কেন শোনেননি বিন্নি-শাহদের কথা? এতদিন পর মুখ খুললেন অবাধ্য ঈশান কিশান
অরিত্রর ব্যাখ্যা, ‘যখন কোনও রাষ্ট্রীয় দল দেশের সবটা দেখে তখন তারা ওপর থেকে দেখে। তারা জুম ইন করেনা। যে কারণে দেশের ছোটখাটো জায়গা ব্রাত্যই থেকে যায়। আর এই কারণেই প্রয়োজন রিজিওনাল দলের। যারা এলাকার খুঁটিনাটি প্রয়োজন অনেক বেশি বুঝবে। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে সেকথা নিশ্চিত। তবুও তা সত্বেও ইন্ডিয়া জোটের প্রয়োজন।’