বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিবাহযোগ্য ছেলে, এই সময় স্ত্রী পালালেন টোটোচালকের হাত ধরে। মধ্যবয়সে এসে বউ যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন তা ভাবতেই পারছেন না বাগদার অর্জুন পাল। বারবার বলছেন, ওঁকে ছাড়া বাঁচব না। একবার তো মরতেও যাচ্ছিলাম…” স্ত্রীর কথা বলতে গিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদলেন অর্জুন পাল। স্ত্রী যে টোটো চালককে মন দিয়ে বসতে পারে, তা কোনওদিন আন্দাজ করতে পানেনি তিনি। অর্জুুনের কথায়, “ওই লোকটাকে একবার ঘরে দেখেছিলাম। কিন্তু, বুঝতে পারিনি ওর সঙ্গে স্ত্রীর কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে। কোথায় যে আমার বউকে নিয়ে গেল!”
হঠাৎ কেন এই চরম পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী, ঠাহর করতে পারছেন না মিঠু পালের স্বামী অর্জুুন পাল। তিনি বলেন, “ শনিবারই ওঁর সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। ও বলল মাংস রাঁধছে। আমি ঠাট্টার সঙ্গে বলেছিলাম মঙ্গলবার-আর শনিবার কেউ মাংস খায় নাকি! আমাদের কখনও কোনও ঝগড়া হয়নি। আমি পুনেতে থাকি কাজের সূত্রে। ও বিড়ি বাঁধার কাজ করত। আমাদের দুই ছেলে রয়েছে-একজনের বয়স ২০, অন্যজন এই বছর মাধ্যমিক দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “২২ বছরের সংসার আমাদের। ভুল মানুষ মাত্রই হয়। আমি চাই ও ফিরে আসুক। ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।”
কাঁদতে কাঁদতে অর্জুন বলেন, “ওই টোটো চালকের স্ত্রী যখন প্রথম ফোনে আমাকে একথা বলে আমি বিশ্বাস করিনি। ছেলের বিয়ে দেওয়ার বয়সে কেউ এভাবে পালাতে পারে! কিন্তু, আমি স্ত্রীকে বারংবার ফোন করি, কিন্তু ও তোলেনি। ছেলে বলে পিসির বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল আর ফেরেনি। আমি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করব না। শুধু একটাই আশা ও ফিরে আসুক। আমি সব কিছু মেনে নিয়ে ওঁর সঙ্গেই ঘর করতে চাই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভালবাসার টানে ঘর ছেড়েছেন দুই গৃহবধূ। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবারের দাবি, দুই টোটো চালকের সঙ্গে পালিয়ে যান একই পরিবারের দুই বউ। সঙ্গে একজন তাঁর ৯ বছরের সন্তানকেও নিয়ে যান। দুই তরুণীর নাম মিঠু পাল ও পবিত্রা পাল। বউমারা এলে ঘরে ফিরিয়ে নিতে শ্বশুর স্বামী কারোর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু প্রেমের জোয়ারে দুই বউ যে কোথায় ভেসে গিয়েছেন, সেটাই তো বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার।